Big Breaking: জম্মু ও কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদী হানায় বাড়ছে নিহতের সংখ্যা, অন্তত ২০ পর্যটকের মৃত্যু

ডিজিটাল ডেস্ক, ২২ এপ্রিল: জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের প্রকাশিত কয়েকটি খবরে দাবি করা হয়েছে, দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁওয়ের একটি রিসর্টে অবস্থান করছিলেন আক্রান্ত পর্যটকেরা। সূত্রের খবর, সেখানে ঢুকে সশস্ত্র জঙ্গিরা পর্যটকদের একে একে নাম জিজ্ঞাসা করে গুলি চালায়। পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পহেলগাঁও পৌঁছেছেন বলে জানা গেছে। জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় মঙ্গলবারের জঙ্গিহানায় অন্তত ২০ জন পর্যটকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে স্থানীয় কয়েকটি সূত্র দাবি করছে, নিহতের সংখ্যা ২৮ জনের কাছাকাছি হতে পারে।

মঙ্গলবার কাশ্মীরের অন্ততনাগ জেলার পহেলগাঁওয়ের বৈসরান এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। অমরনাথ যাত্রা শুরুর আগে এই ঘটনা। সন্দেহ করা হচ্ছে এই হামলার পেছনে জইশ-ই-মহম্মদ-এর হাত আছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে কোনও সরকারি বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

শোনা যাচ্ছে অন্ততনাগ জেলায় রিসর্টের ভেতর ঢুকে গুলি চালিয়েছে জঙ্গিরা। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। শোনা যাচ্ছে কাশ্মীর পুলিশের পিসিআর-এ একজন মহিলা পর্যটকের ফোন আসে, তিনি জানান জঙ্গিরা তার এবং তার স্বামীর ওপর গুলি চালায়, তার স্বামী গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ঐ মহিলা পর্যটক। তার মাথায় গুলি লেগেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই ঘটনার পর দ্রুত এলাকা কর্ডন করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।

আর এক সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে অমরনাথ যাত্রার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া একদল পর্যটকের উপর আচমকা হামলা চালানো হয়। স্থানীয় সূত্রের খবর, ভিড়ের মধ্যে জঙ্গিরা মিশে ছিল এবং সেখান থেকেই হামলা চালানো হয়। ঘটনার পর দ্রুত সেনা ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় এবং জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হামলায় আহত সকলেই রাজস্থানের বাসিন্দা।

ঘটনায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তার সোশ্যাল মিডিয়া