তালিকা ‘ভাগ করা আছে’ , ১৭,২০৬ জন রয়েছেন ‘অযোগ্য’ তালিকার বাইরে! বার্তা ব্রাত্য়র

13

কে যোগ্য়, কে অযোগ্য়! সোমবার থেকে এই ইস্য়ুতেই উত্তাল এপিসি ভবন চত্ত্বর! তালিকা প্রকাশ হওয়ার কথা থাকলেও তা প্রকাশ আর হয়নি। গতকালই ব্রাত্য় বসু জানিয়ে দিয়েছিলেন আইনি সমস্য়ার জন্য় তালিকা প্রকাশ করতে পারছে না প্রশআসন। যদিও বিজেপি সাংসদ অভিজিত গঙ্গোপাধ্য়ায় থেকে বিকাশ ভট্টাচার্য্য় সবাই ব্রাত্য়র এই মন্তব্য়কে মিথ্য়াচার বলে কটাক্ষ করেছেন। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টা নাগাদ এবার মাঠে নামলেন ব্রাত্য় বসু। উল্লেখ্য়, ব্রাত্য় যখন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন, তখন রাতভর আন্দোলনে আঁচ তীব্র।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী সম্পূর্ণভাবে চাকরিহারাদের পাশে রয়েছেন। বিদ্যালয় শিক্ষাদফতর সবসময় তাঁদের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টে বিষয়টি বিচারাধীন রয়েছে। আমরা রিভিউ পিটিশন করছি।”

ব্রাত্য বলেন, “আইনি প্রক্রিয়া এখনও চালু তথা লাগু আছে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে আমরা দায়বদ্ধ। আমাদের এটিও মনে রাখতে হবে আমাদের সরকার, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সাম্প্রতিক আবেদনে ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্ট ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত উপযুক্ত শিক্ষকদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য বলেছে।”

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “আমরা রিভিউ পিটিশন করছি। তাই এমন কোনও কিছু করা উচিত নয় যাতে আপনাদের রিভিউ পিটিশনকে দুর্বল করে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ লঙ্ঘিত হয় কিংবা আপনাদের বা আমাদের আদালত অবমাননা না হয়, তা আপনাদের বজায় রাখতে অনুরোধ করছি। সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুসারে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্কুলে যোগ দিতে অনুরোধ করছি উপযুক্ত শিক্ষকদের। বেতনের বিষয়ে আমাদের দফতর কাজ করে যাচ্ছে। এটি নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমরা নিচ্ছি। আগামিকালও ডিভিশন বেঞ্চে এসএসসির মামলা রয়েছে। আপনাদের জন্যই এসএএসসি লড়ছে। একমাত্র সরকারই আপনাদের পাশে রয়েছে।”

শিক্ষকদের উদ্দেশে ব্রাত্যের বার্তা, “আমরা আইনি পরামর্শ নিয়ে প্রতিটি ধাপ এগোচ্ছি। আমাদের কাজ আমাদের করতে দিন। আপনারা গিয়ে আপনাদের কাজ করুন।”
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, অযোগ্য তালিকার বাইরে ১৭,২০৬ জন রয়েছেন। তিন বলেন, “আমাদের কাছে ভাগ রয়েছে। সেই অনুসারে আমরা কাজ করছি। এমন কোনও কাজ করবেন না, বা এমন কিছু করতে বাধ্য করবেন না, যাতে রিভিউ পিটিশনে আপনাদের বিপক্ষে চলে যায়।”

ব্রাত্য জানান, আইনি পরামর্শ না-পাওয়ার কারণেই তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। আন্দোলনকারী শিক্ষকদের প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী জানান, কাউকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়নি, কাজে যোগ দিতে কারও সমস্যা হয়নি, কারও বেতন বন্ধেরও নির্দেশ দেওয়া হয়নি।

অযোগ্যদের কেন তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে না, সেই নিয়ে প্রশ্নে ব্রাত্য বলেন, “তালিকা তো সুপ্রিম কোর্ট দিয়ে দিয়েছে। আমাদের তো চিহ্নিত করার কিছু নেই। সুপ্রিম কোর্টই জানিয়েছে। সেটি প্রকাশ্যেই (পাবলিক ডোমেন)-এই রয়েছে।” সোমবার সন্ধ্যায় আন্দোলনকারীরা দাবি করেন, তৃতীয় দফার কাউন্সেলিংয়ের পর বাকি দফার কাউন্সেলিংগুলি নিয়ে কোনও মন্তব্য করছে না কমিশন। যদিও শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, এমন কিছুই তিনি জানেন না। ব্রাত্য বলেন, “এগুলির কথা আমরা বলিনি। এসএসসি চেয়ারম্যানও এটি বলেননি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেও এটি উল্লেখ নেই। যা লেখা নেই, তা কাল্পনিক ভাবে ধরে নিয়ে কেন ওঁরা কথা বলছেন, তা আমি জানি না।”


Comments are closed.