POPE FRANCIS DEAD : পোপ ফ্রান্সিসের প্রয়াণ: এরপর কীভাবে ক্যাথলিক চার্চের নতুন পোপ নির্বাচন? কী বলছে ভ্যাটিকানের রীতিনীতি

151

ভ্যাটিকান সিটি: POPE FRANCIS DEAD : ক্যাথলিক চার্চের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস [Pope Francis] প্রয়াত হয়েছেন। তাঁর প্রয়াণের পর, ক্যাথলিক চার্চের [Catholic Church] ভবিষ্যৎ কী হবে, সেই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। পোপের উত্তরসূরি নির্বাচন প্রক্রিয়া [selection process] কেমন হবে, ভ্যাটিকানের [Vatican] রীতিনীতিই বা কী, সেই সম্পর্কে নানা প্রশ্ন উঠছে।

পোপের মৃত্যুর পর, ক্যাথলিক চার্চের নিয়ম অনুযায়ী, কার্ডিনালদের একটি কনক্লেভ [conclave of cardinals] আহ্বান করা হবে। এই কনক্লেভে, কার্ডিনালরা একত্রিত হয়ে ভোটাভুটির মাধ্যমে নতুন পোপ নির্বাচন করবেন। এই প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ গোপনে অনুষ্ঠিত হয় এবং ভ্যাটিকান সিটির [Vatican City] সিস্টিন চ্যাপেলে [Sistine Chapel] এই ভোটগ্রহণ চলে।

নতুন পোপ নির্বাচনের জন্য, কার্ডিনালদের মধ্যে থেকে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি ভোট পেতে হয়। যদি প্রথম কয়েকবার ভোটাভুটিতে কোনো সিদ্ধান্ত না হয়, তাহলে দিনের শেষে ব্যালট পেপার পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং চিমনি দিয়ে সাদা ধোঁয়া না বেরোনো পর্যন্ত ভোট চলতে থাকে। সাদা ধোঁয়া বেরোলে বোঝা যায়, নতুন পোপ নির্বাচিত হয়েছেন।

পোপ ফ্রান্সিসের [Pope Francis] প্রয়াণের পর, ক্যাথলিক চার্চের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান হিসেবে কিছুদিনের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন কার্ডিনাল কলেজ ডিন [Dean of the College of Cardinals]। তিনি নতুন পোপ নির্বাচনের প্রক্রিয়া তদারকি করবেন।

পোপ ফ্রান্সিস [Pope Francis] তাঁর কার্যকালে, ক্যাথলিক চার্চে বেশ কিছু পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেছিলেন। গরিবদের প্রতি তাঁর বিশেষ মনোযোগ ছিল এবং পরিবেশ রক্ষার কথাও তিনি বার বার বলেছেন। তাঁর প্রয়াণের পর, নতুন পোপের কাছেও এই বিষয়গুলি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ক্যাথলিক চার্চের [Catholic Church] ভবিষ্যৎ এখন নতুন পোপের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে। সারা বিশ্বের কোটি কোটি ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বী মানুষ তাকিয়ে আছেন, পরবর্তী পোপ কী বার্তা দেন, সেদিকে।

পোপ ফ্রান্সিসের [Pope Francis] প্রয়াণ একটি যুগের শেষ। তাঁর প্রগতিশীল চিন্তাভাবনা এবং গরিবদের প্রতি ভালবাসা তাঁকে সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছিল। নতুন পোপের কাছে ক্যাথলিক চার্চ কী নতুন দিশা পায়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

নতুন পোপ নির্বাচনের জন্য, কার্ডিনালদের মধ্যে থেকে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি ভোট পেতে হয়। যদি প্রথম কয়েকবার ভোটাভুটিতে কোনো সিদ্ধান্ত না হয়, তাহলে দিনের শেষে ব্যালট পেপার পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং চিমনি দিয়ে সাদা ধোঁয়া না বেরোনো পর্যন্ত ভোট চলতে থাকে।

সূত্রের খবর, সোমবার সকাল ৭:৩৫টায় প্রয়াত হয়েছেন পোপ। কার্ডিনাল কেভিন ফেরেল জানান, ‘বিশপ অফ রোম’ পরমপিতার ধামে ফিরে গেছেন।                                                               

২০১৩ সালে পোপ বেনেডিক্ট ষোড়শের পদত্যাগের পর ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বীদের সর্বোচ্চ পদে অভিষিক্ত হন আর্জেন্টিনার (Argentina) জর্জ মারিও বেরগোলিও। যিনি বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিত পোপ ফ্রান্সিস নামে। পোপ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার সময় তাঁর বয়স ছিল ৭৬ বছর।                                    

পোপ ফ্রান্সিস সম্প্রতি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিনি ৩৮ দিন রোমের জেমেলি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাঁর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি দ্বিপাক্ষিক নিউমোনিয়া এবং শ্বাসযন্ত্রের জটিল সংক্রমণে ভুগছিলেন। ৬ এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে পোপ ফ্রান্সিস হুইলচেয়ারে বসে জনসাধারণের সামনে উপস্থিত হন এবং ভক্তদের অভিবাদন জানান।                                    

পোপের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন। 

ভ্যাটিকানের তরফে জানানো হয়েছে, নিজের জীবন যীশু এবং চার্চের প্রতি দান করে দিয়েছিলেন পোপ। তাঁর মৃত্যুতে সকলের মনে গভীর শোক। গত কয়েক বছর ধরে একাধিক রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন পোপ ফ্রান্সিস। ২০২৩ সালের পর থেকে অনেকবার হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয়েছিল তাঁকে। কিছু মাস আগে শ্বাসকষ্ট এবং ফুসফুসের সংক্রমণে ভুগছিলেন তিনি।  অল্প বয়সে ফুসফুসের একটি অংশ চিকিৎসার কারণেই বাদ দিতে হয়েছিল তাঁর। ফলে ডবল নিউমোনিয়ার কারণে পোপের স্বাস্থ্যের আরও অবনতি হচ্ছিল। সোমবার সকালে প্রয়াত হলেন তিনি। 
পোপ ফ্রান্সিসের [Pope Francis] প্রয়াণ একটি যুগের শেষ। তাঁর প্রগতিশীল চিন্তাভাবনা এবং গরিবদের প্রতি ভালবাসা তাঁকে সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছিল। নতুন পোপের কাছে ক্যাথলিক চার্চ কী নতুন দিশা পায়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

নতুন পোপ নির্বাচনের জন্য, কার্ডিনালদের মধ্যে থেকে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি ভোট পেতে হয়। যদি প্রথম কয়েকবার ভোটাভুটিতে কোনো সিদ্ধান্ত না হয়, তাহলে দিনের শেষে ব্যালট পেপার পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং চিমনি দিয়ে সাদা ধোঁয়া না বেরোনো পর্যন্ত ভোট চলতে থাকে।

ক্যাথলিক চার্চের [Catholic Church] ভবিষ্যৎ এখন নতুন পোপের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে। সারা বিশ্বের কোটি কোটি ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বী মানুষ তাকিয়ে আছেন, পরবর্তী পোপ কী বার্তা দেন, সেদিকে।

[Pope Francis Dead] [Catholic Church] [Next Pope] [Selection Process] [White Smoke] [Vatican] [Cardinals] [Conclave] [Sistine Chapel] [Religion News] [World News]

Comments are closed.