কলকাতা, ১৯ এপ্রিল: শনিবার সকালে আর পাঁচটা দিনের মতোই নিউ টাউনে প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে পড়েন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ভোর সাড়ে ৫টার মধ্যে পৌঁছে যান ইকো পার্কে। সেখান থেকেই জানিয়ে দিলেন, স্ত্রীর সঙ্গে আলাপ ইকো পার্কে হয়নি। ইকো পার্কে হাঁটলে আদৌ কারও বিয়ে হয় না! বিয়ে যখন হওয়ার, তখনই হয়। বিয়ের পর রাজনৈতিক কর্মসূচিতেও কোনও বদল আসবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন দিলীপ।
আজ বিকেল ৫টায় দমদম সুভাষনগর ময়দান থেকে নাগেরবাজার পর্যন্ত মিছিল করবেন দিলীপ। রাতে খড়্গপুর যাবেন। সেখানেও জন্মদিন পালন করা হবে। খড়্গপুরে দিলীপ একটি বিয়েবাড়ির নিমন্ত্রণও রক্ষা করবেন। রবিবার সকালে চা চক্রে থাকবেন তিনি। সোমবার কলকাতা ফিরবেন।
শুক্রবার গোধূলি লগ্নে নিজের বাড়িতে বিয়ে সেরেছেন দিলীপ। পাত্রী রিঙ্কু মজুমদার বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী। দিলীপের জন্মদিন খাতায়কলমে ১ অগস্ট। কিন্তু তিথি মেনে প্রতি বছর ১৯ এপ্রিল তিনি জন্মদিন পালন করেন। দিলীপ নিজে অবশ্য সে ভাবে কোনও উদ্যাপনে বিশ্বাসী নন। তাঁর সঙ্গে প্রতি দিন যাঁরা প্রাতর্ভ্রমণে হাঁটেন, তাঁরাই বিয়ে এবং জন্মদিন উপলক্ষে শনিবার ইকো পার্কে ছোটখাটো আয়োজন করেছিলেন।
প্রসঙ্গত দিলীপ ঘোষ জানান, রাজ্যপাল এখনও পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করেছেন, কিন্তু রাজ্যের শাসকের পক্ষ থেকে কোনও সদর্থক পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না। তিনি আরও বলেন, ১১ তারিখ মালদা থেকে ফেরার পথে তাঁকে গেস্ট হাউসে বসিয়ে রাখা হয়, অথচ বিভিন্ন হিংসার জায়গা থেকে তাঁর কাছে ফোনে বিএসএফ পাঠানোর অনুরোধ আসে। বিকেল ৬টার পর বিএসএফ ঢোকে। ফেরার পথে তিনি ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি দেখতে পান। দিলীপের মন্তব্য, যদি বিএসএফ-ই পুলিশের কাজ করে, তাহলে ৩৫৫ বা ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করা হোক।
Comments are closed.