ডিজিটাল ডেস্ক, ১৮ এপ্রিল: মুখ্য়মন্ত্রীর আপত্তি একপ্রকার উড়িয়েই মালদায় রাজ্যপাল। শিয়ালদা থেকে ট্রেনে মালদা পৌঁছলেন সিভি আনন্দ বোস। মালদা টাউন স্টেশনে নেমে সোজা চলে গিয়েছেন বৈষ্ণবনগরের পারলালপুর হাইস্কুলের ক্যাম্পে। এরপর সন্ধেবেলা ঘরছাড়াদের সঙ্গে কথা বলার সময় আচমকাই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি হয়।
ক্যাম্পের বাইরে রাজ্যপালের সাক্ষাৎপ্রার্থী ছিলেন বহু গ্রামবাসী। তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চেয়ে বারবার পুলিশের কাছে আবেদন-নিবেদন করেও লাভ হয়নি। পুলিশ একসঙ্গে এতজনকে ক্যাম্পে ঢুকতে বাধা দেয়। এরপর পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার জেরে শেষমেশ তুমুল বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন স্থানীয়রা। দফায় দফায় বিক্ষোভের ফলে পরিস্থিতি সামাল দিতে কার্যত হিমশিম খেতে হল পুলিশকে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘরছাড়াদের বন্দির মতো রাখা হয়েছে। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি ক্যাম্পের বাইরে ব্যারিকেড দিয়ে ঘেরা হয়েছে, যাতে তাঁরা বাইরে যেতে না পারেন। এলাকার বাসিন্দাদের কথায়, ঘরছাড়াদের সঙ্গে কথা বলে রাজ্যপাল কী কী আশ্বাস দিচ্ছেন, সেটা তাঁরা জানতে চান। আর তাই আশ্রয় শিবিরে ঢুকতে চাইছেন। কিন্তু পুলিশ বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ।
প্রসঙ্গত এদিন সকালে মালদহে পৌঁছন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল। এদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ বন্দে ভারতে মালদহ টাউন স্টেশনে নামেন তাঁরা। সেখান থেকে গাড়িতে চেপে সোজা পারলালপুর হাইস্কুলের ক্যাম্পের উদ্দেশে রওনা দেন। সেখানে গিয়ে ক্যাম্পের মানুষদের সাথে কথা বলেন। যদিও এই দিন সংবাদ মাধ্যমের সামনে কোনও রকম মন্তব্য করেননি মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দল।
Comments are closed.