কলকাতা, ১৮ এপ্রিল: আজ শুক্রবার বিকেলে ঘরোয়া এবং অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছেন দিলীপ ঘোষ। বিকেল সাড়ে ৫টায় বিবাহের সময় স্থির হয়েছে। দিলীপের জননী-সহ অন্য পরিজন এবং পাত্রী রিঙ্কু মজুমদারের পরিজনেরা থাকবেন। দু’-একজন বন্ধুবান্ধবও থাকবেন।
এই শুভলগ্নে দিলীপ ও রিঙ্কুকে শুভেচ্ছাবার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। উপহার পাঠালেন ফুল। মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা নিয়ে দিলিপের বাড়ি পৌঁছলেন আইসি টেকনোসিটি থানা এবং আইসি নিউটাউন।
শুক্রবার সকালে দেখা গেল দিলীপের বাড়িতে হাজির রাজ্য বিজেপির সভাপিত সুকান্ত মজুমদার, লকেট চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, সুনীল বনশল, মঙ্গল পাণ্ডে-সহ অনেকে। সুকান্ত দিলীপের উপহার স্বরূপ তুলে দিলেন ফুল, মিষ্টি ও ধুতি। বেশ কিছুক্ষণ সেখানে ছিলেন তাঁরা। দিলীপবাবুর মায়ের পায়ে হাত দিয়ে প্রমাণ করেন সুকান্ত। তবে বিকেলে বিয়ের আসরে থাকতে পারবেন না তিনি।
দিলীপের বিবাহের খবর জানাজানি হওয়ার পর থেকে শুভেচ্ছার ঢল নেমেছে। আপাতত ঠিক হয়েছে, শনিবার সকালে দিলীপ যখন প্রাতর্ভ্রমণে বেরোবেন, তখনই তাঁর জন্মদিন পালিত হবে। যাঁরা রোজ প্রাতর্ভ্রমণে দিলীপের সঙ্গে থাকেন, তাঁরাই মূলত তাঁর জন্মদিন পালনে উদ্যোগী হয়েছেন।
হাতে আর মাত্র কয়েকঘণ্টা। হাতে শাঁখা-পলা, কনের বেশে সাজতে পার্লারে দিলীপ ঘোষের হবু স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদার। সেখানেই আরও একবার জানালেন কীভাবে প্রেম, বিয়ের সিদ্ধান্ত।
দিলীপের ঘনিষ্ঠমহল সূত্রের খবর, গত লোকসভা ভোটে হেরে যাওয়ার পর দিলীপ যখন খানিক বিষণ্ণ, তখন রিঙ্কুই প্রথম তাঁকে সংসার বাঁধার প্রস্তাব দেন। রিঙ্কু বিবাহবিচ্ছিন্না। গৃহবধূ। এক পুত্রের জননী। তাঁর ছেলে সেক্টর ফাইভে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে কর্মরত। দিলীপ প্রথমে বিয়েতে রাজি হননি। তবে পরে ভেবেচিন্তে এবং মূলত মায়ের পীড়াপীড়িতে রাজি হয়েছেন।
ধুতি-গেঞ্জিতে বাড়িতেই প্রস্তুতি শুরু করলেন দিলীপ। সঙ্গে রয়েছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য।
প্রসঙ্গত বর্ধমান দুর্গাপুরের সাংসদ কীর্তি আজাদ উল্লাসে মাতলেন। ‘মেরে ইয়ার কি সাদি হে’, গানের তালে গলা মেলালেন এবং নাচলেন। তৃণমূল কর্মীদের মিষ্টিমুখ করার ব্যবস্থা করলেন। একসাথে তৃণমূল কর্মীদের সাথে বসে চাও খেলেন। তারপরেই তিনি বললেন,”নতুন বৌদি আর দিলীপ দা কে হার্দিক অভিনন্দন। নতুন জীবন সুখের হোক। আমরা একে অপরে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও বিবাহ জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দিলীপ দার বিবাহ নিয়ে শুভেচ্ছা জানানো আমার কর্তব্য। আমি আশা করব এরপর থেকে দিলীপ দা জয় সিয়ারাম বলবেন।”
Comments are closed.