SRIBHUMI : সার্বিক ব্যর্থতার মধ্যেও উজ্জ্বল শর্মিলা, বাংলায় রাজ্যসেরা শ্রীভূমির শর্মিলা সিনহা

23

SRIBHUMI : পেশাদারি, এআইর এই যুগে লাটে উঠেছে সরকারি স্কুলের পড়াশুনা। বেসরকারি স্কুলেই পড়াশুনার মান ভাল। এই ধারণাকে পুরোপুরি উড়িয়ে দিল শ্রীভূমির এক ছাত্রী।

বাংলায় রাজ্যসেরা অবাঙালি শর্মিলা। সার্বিক ব্যর্থতার মধ্যেও উজ্জ্বল শর্মিলা। মণিপুরি শর্মিলার মন-প্রাণ জুড়ে বাংলা। মাধ্যমিকে অভূতপূর্ব ফলাফল করে নজির গড়ল শ্রীভূমি জেলার পাথারকান্দির প্রত্যন্ত এক গ্রামের মেয়ে শর্মিলা। অত্যন্ত সাধারণ পরিবারের মেয়ে শর্মিলা সরকারি স্কুলে পড়াশুনা করেই দুরন্ত সাফল্য পেল। বাংলায় একশোয় ১০০ শর্মিলার। টিউশন ছাড়াই ৮৯ শতাংশ নম্বর। সবকটা বিষয়ে লেটার মার্কস। শর্মিলার সাফল্যে খুশি মডেল স্কুল কর্তৃপক্ষও। সরকারি স্কুলে পড়েও সাফল্যের শিখরে শর্মিলা।

পাথারকান্দি মডেল হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল থেকে ৫ কিলোমিটার দূর শর্মিলাদের বাড়ি। সাইকেল কিনে দেবেন এমন সামর্থ্য নেই বাবার। তাই পায়ে হেঁটেই স্কুল যাওয়া-আসা করতে হত শর্মিলাকে।

টিলার উপর বাড়ি, নিচে ঘুগনি-পরটার দোকান বাবার। এতেই পরিবার চলে শর্মিলাদের। তাই প্রাইভেট টিউশনের স্বপ্ন দেখাও ছিল অসম্ভব। অনলাইনে ইউ-টিউব, হোয়াটস-অ্যাপ ঘেটেই প্রস্তুতি নেন শর্মিলা। শুধু পড়াশুনাই নয়, ঘরে একা মাকেও সাহায্য করতে হত শর্মিলাকে। সবকিছু করেও শেষপর্যন্ত সফল শর্মিলা।

ছোটবেলা থেকেই বাংলার প্রতি অগাধ ভালবাসা শর্মিলার। যদিও তাঁর মাতৃভাষা বাংলা নয়, তবু বাংলা যেন ছিল তাঁর বুকের ভিতরে। সেই বাংলাতেই তাই রেকর্ড নম্বরও পায় শর্মিলা। অ-বাঙালি শর্মিলার এই সাফল্যে তাই কিছুটা হলেও লজ্জানত তথাকথিত বাঙালিরাও। বাংলার প্রতি এই ভালোবাসার জন্যই ভবিষ্যতে বিজ্ঞান নয়, আর্টস নিয়েই পড়তে চায় শর্মিলা। স্নাতক শেষে এপিএসসিতে বসার স্বপ্ন শর্মিলার।

বাংলাকে ভরসা করেই আগামীদিনে এগিয়ে যেতে চায় শর্মিলা। তাই কলা বিভাগই পছন্দ তাঁর। আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পেশা হিসেবে এপিএসসিকে বেছে নেওয়া। আবাঙালি হয়েও মণিপুরি শর্মিলা সিনহা তাই এখন বাঙালির অতি আদরের হয়ে উঠেছেন।

Comments are closed.