ওয়াকফ সম্পত্তিতে এখনই কোনও বদল নয়, বোর্ডেও এখনি কোনও নতুন নিয়োগ নয়, সুপ্রিম নির্দেশে আইন নিয়ে ব্য়াকফুটে কেন্দ্র?
সুপ্রিম কোর্টে ওয়াকফ মামলার শুনানির শুরুতেই সওয়াল করলেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘কিছু ভাল দিক অবশ্যই রয়েছে। তবে পরিস্থিতি বদলে যাক, চাই না।’’ এর পরেই ওয়কফ শুনানিতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ রায় সর্বোচ্চ আদালতের।
পরবর্তী শুনানির পর্যন্ত ওয়াকফ বোর্ড এবং পর্ষদে নিয়োগ করা যাবে না। নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, ১৯৯৫ সালের আইনে নথিভুক্ত ওয়াকফ সম্পত্তিতে কোনও বদল ঘটানো যাবে না। পাশাপাশি, নিয়োগ করা যাবে না ওয়াকফ বোর্ড বা পর্ষদেও।
নতুন ওয়াকফ আইনের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। এ নিয়ে কেন্দ্রকে সাত দিনের মধ্যে নিজেদের বক্তব্য জানাতে বলল শীর্ষ আদালত।
ওয়াকফ মামলায় পরবর্তী শুনানি আগামী ৫ মে। ওই দিনে প্রয়োজনে কোনও নির্দেশ দেওয়া হলেও হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
এই মামলায় এর আগে সর্বোচ্চ আদালতের মন্তব্য় গুরুত্বপূর্ণ। প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, ‘‘আমাদের সামনে তিনটি পথ। এক, আমরা পিটিশন শুনব। দুই, হাই কোর্টে পাঠিয়ে দেব। তিন, হাই কোর্টে পড়ে থাকা পিটিশনও গ্রহণ করে আমরাই সিদ্ধান্ত নেব।’’ সুপ্রিম কোর্ট তিনটি অন্তর্বর্তী নির্দেশ নিয়ে আলোচনাও করে। সেগুলি হল, এক, কোর্ট যে সম্পত্তিকে ওয়াকফ বলে ঘোষণা করবে, তাকে ‘ওয়াকফ নয়’ বলে ধরা যাবে না। দুই, যে ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ রয়েছে, তা নিয়ে জেলাশাসক প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া চালাতে পারবেন। কিন্তু সেই বিধান কার্যকর করা যাবে না। তিন, ওয়াকফ বোর্ড এবং ওয়াকফ কাউন্সিলের সদস্যদের মুসলিম হতেই হবে। শুধু যাঁরা পদাধিকার বলে ওয়াকফে যোগ দেবেন, তাঁরা ভিন্ধর্মের হতে পারেন। শেষ পর্যন্ত এই অন্তর্বর্তী নির্দেশ তারা দেয়নি।
Comments are closed.