সুপ্রিম কোর্টে সাময়িক স্বস্তি রাজ্য়ের, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল যোগ্য়দের চাকরি

11

২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) নতুন করে আবেদন করেছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের আর্জি ছিল, যাঁরা ‘দাগি’ নন, আপাতত তাঁদের চাকরি বহাল থাকুক। আদালত সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছে। তবে, শিক্ষকদের স্কুলে যাওয়ার অনুমতি থাকলেও গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের ক্ষেত্রে আগের নির্দেশ বহাল থাকবে।

প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে যে, রাজ্যকে ৩১শে মের মধ্যে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে, তারা চলতি বছরেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করবে। ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।

মামলার মূল বিষয় হল, ২০১৬ সালে [শিক্ষক নিয়োগে] দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এর প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্যানেল বাতিল করে দেয়। এর ফলে ২৫ হাজার ৭৩৫ জনের চাকরি যায়। তাঁদের মধ্যে অনেকে ‘চিহ্নিত অযোগ্য’ রয়েছেন। আদালত তাঁদের বেতনও ফেরত দিতে বলেছে।

পর্ষদ আদালতকে জানিয়েছে, এই রায়ের ফলে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থায় বড় প্রভাব পড়বে। অনেক স্কুলে শিক্ষক (Teacher) থাকবে না। রাজ্যের ৯,৪৮৭টি উচ্চ বিদ্যালয় (High School) এবং ৬,৯৫২টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট দেখা দেবে। তাই পর্ষদের আবেদন, যাঁরা ‘দাগি’ হিসাবে চিহ্নিত, তাঁরা ছাড়া বাকিদের চাকরি যেন বহাল রাখা হয়। চলতি শিক্ষাবর্ষ অথবা নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের চাকরি থাকুক।

এই মামলার রায় শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর একটি বড় প্রভাব ফেলবে এবং এর ফলস্বরূপ অনেক যোগ্য শিক্ষকও তাদের চাকরি হারাবেন। আদালতের এই রায় রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য একটি বড় ধাক্কা। এখন দেখার বিষয়, রাজ্য সরকার এই পরিস্থিতিতে কিভাবে সামাল দেয় এবং দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে শিক্ষক সংকট দূর করে।

Comments are closed.