কলকাতা, ১৬ এপ্রিল: মুর্শিদাবাদের ১১ জন আক্রান্তকে নিয়ে রাজ্য পুলিশের সদর দফতর ভবানী ভবনে প্রবেশ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রয়েছেন অপর তিন বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, তাপস রায় এবং অর্জুন সিং-ও। রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান তাঁরা। সেই মতো ১১ জন আক্রান্ত এবং চার বিজেপি নেতা ভবানী ভবনে গিয়েছেন।
প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে বাকবিতণ্ডার পর ভবানী ভবনে ঢোকার অনুমতি পায় বিজেপি। ঘরছাড়াদের নিয়ে ভবানী ভবনে ঢোকেন সুকান্তরা। জানা গিয়েছে, ঘরছাড়াদের মুখ থেকে সমস্যার কথা শুনবেন রাজ্য পুলিশের ডিজি।
সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে মুর্শিদাবাদে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়। ডিজি রাজীব কুমার খোদ এলাকায় যান। সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে এলাকায় শান্তি ফেরান। বর্তমানে মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। বুধবার সকালে ওই এলাকার ১১ জন বাসিন্দা কলকাতায় আসেন। বিজেপি রাজ্য দপ্তরে সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে দেখা করেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান।
এরপর মুর্শিদাবাদের ১১ জন বাসিন্দাকে নিয়ে ভবানী ভবনের উদ্দেশে রওনা দেন সুকান্ত। সঙ্গে ছিলেন জগন্নাথ সরকার ও তাপস রায়রা। কিছুক্ষণ পর সেখানে গিয়ে পৌঁছন অর্জুন সিং। রাজ্য পুলিশের ডিজির সঙ্গে দেখা করতে চান তাঁরা। তবে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। তাতে ক্ষুব্ধ বিজেপি ভবানী ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে।
এই মুহুর্তে বৈঠক করছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং ১১ জন আক্রান্ত সহ বিজেপি নেতৃত্বরা। জানা যাচ্ছে রাজ্য পুলিশের ডিজির সঙ্গে বৈঠকের পরেও আশ্বস্ত হতে পারেননি সুকান্তেরা। ভবানী ভবনের বৈঠক শেষে জানালেন, ডিজি ঘরছাড়াদের অভিযোগের কথা শুনেছেন। তবে আশ্বস্ত হওয়ার মতো কিছু তাঁরা পাননি। সুকান্ত বলেন, “ডিজিকে আমরা যে যে প্রশ্ন করেছিলাম, তার যথাযথ উত্তর পেলাম না। উনি বলেছেন, আমরা আইন অনুসারে কাজ করব।”
Comments are closed.