ডিজিটাল ডেস্ক, ১৬ এপ্রিল: ওয়াকফ সংশোধিত আইন নিয়ে অন্তর্বর্তী কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। নতুন সংশোধিত ওয়াকফ আইন কার্যকর করার কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি আবেদন জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ মামলাগুলি শুনেছেন। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথন।
সংশোধিত ওয়াকফ আইন দেশে কার্যকর করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। তাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে বেশ কয়েকটি পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। বুধবার সে রকম ৭৩টি আবেদন একত্রিত করে শুনল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চ। বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথন। সেই শুনানিতে নতুন আইন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে বেশ কিছু প্রশ্ন করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
‘সরকার নিয়ন্ত্রণ করলেই অসাংবিধানিক নয়’, নতুন আইনে বলছে সুপ্রিম কোর্ট। নতুন আইন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিস দিল সুপ্রিম কোর্ট। দু’সপ্তাহের মধ্যে উত্তর দিতে হবে কেন্দ্রকে।
এদিন প্রস্তাবিত অন্তর্বর্তী আদেশে তিনটি বিষয় রাখার কথা বলে সুপ্রিম কোর্ট:
এ্ক, যতদিন পর্যন্ত এই মামলা চলছে ততদিন অবধি আদালত কর্তৃক ওয়াকফ ঘোষিত সম্পত্তিকে ‘ডিনোটিফাই’ করা যাবে না। দুই, নতুন আইন মোতাবেক সরকার কর্তৃক প্রেরিত আধিকারিক যতক্ষণ না পর্যন্ত তদন্ত সম্পূর্ণ করছেন কোনও সম্পত্তিকে ওয়াকফ ঘোষণা করা যাবে না। আপাতত আইনের এই অংশ স্থগিত রাখা হোক। তিন, ওয়াকফ বোর্ডে দু’জন আধিকারিক ছাড়া বাকি সদস্যদের ইসলাম ধর্মাবলম্বী হতে হবে।
ওয়াকফ প্রতিবাদে হিংসার ঘটনায় উদ্বেগপ্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। তাঁর মন্তব্য, এটা অত্যন্ত আশঙ্কার বিষয়। এ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা বললেন, অশান্তি তৈরি করে চাপ সৃষ্টি করা কোনও কৌশল হতে পারে না। দেশের নানা প্রান্তেই এই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়েছে, একাধিক রাজ্যে অশান্তিও হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে অশান্তি হয় মুর্শিদাবাদে। বুধবার শুনানি চলাকালীন সে বিষয়ে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবীরা। তখনই বিচারপতি খন্না হিংসা নিয়ে তাঁর দুশ্চিন্তার কথা প্রকাশ করেছেন। এই ধরণের ঘটনাগুলিকে উদ্বেগজনক’বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
Comments are closed.