বিজেপির ‘হিন্দু শহিদ দিবস’, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে শুভেন্দুর তোপ

10

কলকাতা, ১৬ এপ্রিল: আজ (বুধবার – ১৬ এপ্রিল, ২০২৫) যে ‘হিন্দু শহিদ দিবস’ পালন করা হবে, সেকথা আগেই ঘোষণা করেছিল রাজ্য বিজেপি। নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে তার ভার্চুয়াল প্রচারও করেছিল তারা। সেই মতো এদিন সেই কর্মসূচি পালন করার সময়েই ফের একবার মুর্শিদাবাদ ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দলের নেতাদের কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন শুভেন্দু অধিকারী-সহ অন্য বিজেপি বিধায়করা সাদা-কালো পোশাক পরে এবং হাতে কালো পতাকা ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিধানসভার বাইরে জমায়েত করেন। শুভেন্দু বলেন, গত লোকসভা নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সংখ্যালঘুরা মূলত কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছেন। সেই ভোট তৃণমূলে টানতেই রাজ্য়ের শাসকদল মুর্শিদাবাদে হিংসার ঘটনা ঘটিয়েছে! এর জন্য সরাসরি মমতাকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন শুভেন্দু।

এনআইএ তদন্ত হলেই সবটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। সামগ্রিকভাবে মুর্শিদাবাদের হিংসার ঘটনার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতৃত্বকেই দায়ী করেন শুভেন্দু। একইসঙ্গে, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোলেন মিথ্যাচারের অভিযোগ।

এ দিনের এই কর্মসূচি ঘিরে প্রতিবাদী বিজেপি বিধায়কদের মুখে স্লোগান শোনা যায় – ‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও’, ‘বাংলার হিন্দু এক হও’, ‘চোর মমতা হায় হায়’, ‘খুনিদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা হায় হায়’, ‘খুনি মমতার বিরুদ্ধে লড়তে হবে একসাথে’, ‘পুলিশ মন্ত্রী হায় হায়’ ইত্যাদি।

আজ প্রথমে বিধানসভার বাইরে একটি অস্থায়ী শহিদ বেদী নির্মাণ করা হয়। সেখানে শুভেন্দু-সহ অন্যরা মুর্শিদাবাদে নিহত দুই হিন্দু বাসিন্দার স্মৃতির উদ্দেশে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

শুভেন্দু সরাসরি বলেন তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে জেলে দেখতে চান। আরও বলেন বিজেপি আর তৃণমূলের লড়াই অসম, কারণ তার মতে মুখ্যমন্ত্রী কুয়োতে থাকেন আর বিজেপি সমুদ্র। তিনি আরও বলেন মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য চালাতে ব্যর্থ, আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে।

প্রসঙ্গত মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানে যেতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে ধুলিয়ানে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছে না পুলিশ। আজ, বুধবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে এই মামলার শুনানি। অন্যদিকে, সামশেরগঞ্জে বুধবার নতুন করে বোমার আঘাতে ২ জন আহত হওয়ার কথা জানা গিয়েছে। এছাড়াও ধুলিয়ান পুরসভায় একটি দোকানে আগুন লাগে। শর্ট সাকিট থেকেই আগুন লাগে বলে দাবি পুলিশের।

Comments are closed.