কলকাতা, ১৪ এপ্রিল: নববর্ষের প্রাক্কালে তিলোত্তমাকে স্কাইওয়াক উপহার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সোমবার সন্ধ্যায় কালীঘাটের সাড়ে চারশো মিটার দীর্ঘ স্কাইওয়াকের উদ্বোধন করলেন তিনি। সেই অনুষ্ঠান থেকে দিলেন সম্প্রীতি-শান্তির বার্তা।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ধর্ম যাঁর যাঁর, উৎসব সবার। অন্য অনুষ্ঠানে গেলে আমার পদবি পাল্টে দেওয়া হয়। আমি যে কোনও ধর্মের পাশে দাঁড়াই। শান্তিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করার অধিকার সবার আছে। তবে আইন কখনও হাতে তুলে নেবেন না। আইন রক্ষার জন্য আইনের রক্ষকরা আছে। আইনের ভক্ষক হওয়ার কী দরকার? কারও কথায় প্ররোচিত হবেন না। শান্তি বজায় রাখুন।’
এদিন স্কাইওয়াকের পাশাপাশি হকার্স কর্নারের উদ্ধোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এসপি মুখার্জি রোড থেকে কালীঘাট টেম্পল রোড পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চারশো মিটার লম্বা একটি স্কাইওয়াক তৈরির বরাতও দেওয়া হয়।
ওয়াকফ আইন নিয়ে রাজ্য়ের কয়েকটি জেলা থেকে অশান্তির খবর প্রকাশ্যে আসছে। যদিও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে জানিয়েছেন এডিজি আইন শৃঙ্খলা জাভেদ শামিম। সেই আবহেই এদিন ফের ঐক্য়ের বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্ররোচনায় পা না দিয়ে সকলকে সতর্ক থাকার বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “কারও উপর যদি আঘাত আসে, সে যে ধর্মের লোকই হোক, আমরা পাশেই দাঁড়াই।” তবে আন্দোলন মানে যে আইন হাতে তুলে নেওয়া নয়, এদিন ফের তা বুঝিয়ে দিলেন। বললেন, “আন্দোলনের অধিকার সবার রয়েছে। তবে আইন হাতে তুলে নেবেন না।”
দক্ষিণেশ্বরের আদলে কালীঘাটের স্কাইওয়াক তৈরির জন্য ১২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করে রাজ্য সরকার। এই দিনের অনুষ্ঠানে মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, মালা রায়, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, শিল্পপতি সৃঞ্জয় বোস, নির্মল ঘোষ, দেবাশিস কুমার, হর্ষ নেওটিয়া, সঞ্জয় বুধিয়া, মেহুল মহান্ঙ্কা জিৎ গাঙ্গুলি, অদিতি মুন্সি, জুন মালিয়া-সহ অন্য়ান্যরা।
উল্লেখ্য, দক্ষিণেশ্বরে রানি রাসমণি স্কাইওয়াক উদ্বোধনের দিনই মমতা কালীঘাটে স্কাইওয়াক তৈরির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। সেটা ২০১৮ সালের নভেম্বর।
Comments are closed.