ইন্দ্রজিৎ সাহুর কলমে
পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৩ এপ্রিল: কালবৈশাখীর আশঙ্কায় জমির ফসল কেটে নিরাপদে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চাষিদের। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। দক্ষিণবঙ্গে ঝড়বৃষ্টি আজ রবিবার ও আগামীকাল সোমবার। গত দুদিন ধরে এই আভাস পাওয়ার পর জমির ফসল বাঁচাতে তৎপর চাষিরাও। ইতিমধ্যে ঝড়ের ভয়ে জেলার একাধিক চাষিরা জমির ফসল কেটে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
চাষিদের বক্তব্য, গত দুই দিনের কালবৈশাখী ঝড়-বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিঘার পর বিঘা ধান জমি। ফলে লাভের বদলে, লোকসানের টাকা গুনতে হবে তাদের। তাই ঝড় ও বৃষ্টির আশঙ্কায় ধান ক্ষয়ক্ষতির থেকে বাঁচাতে, এখনই মাঠ থেকে তড়িঘড়ি ধান ঘরে তোলায় ব্যস্ত চাষিরা। আজ সকালে রোদ ঝলমল আকাশ থাকলেও, পরবর্তী সময়ে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে আকাশ মেঘলা হয়ে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির খবর পাওয়া যায়। এর মধ্যেই ফসল কেটে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং, পিংলা, নারায়ণগড়, ডেবরা, বেলদা, কেশিয়াড়ি , দাঁতন সহ একাধিক এলাকার কৃষকরা।
জানা গিয়েছে, জেলায় প্রায় ৭০ শতাংশ কৃষক ধান সহ জমির ফসল কেটে গুদামজাত করেছেন। কৃষকেরা জানান, বারংবার এ ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়ে ক্ষতির মুখ দেখতে হয় তাদের। গত দু-দিনের কালবৈশাখীতে ধান চাষের ক্ষতি হয়েছে। যদিও গাড়িতে ধান কাটা হচ্ছে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে বেশিরভাগ ধান গাড়ির ভিতর থেকে যাচ্ছে। এ কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। সেক্ষেত্রে অশনির সংকেত পাওয়ার পর ধান তড়িঘড়ি গুছাতে হচ্ছে।
Comments are closed.