কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে হাই কোর্টে শুভেন্দু, ওয়াকফ-প্রতিবাদে ধ্বংস রেলের সম্পত্তি, NIA তদন্ত চেয়ে মন্ত্রীকে চিঠি

10

কলকাতা, ১২ এপ্রিল: ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে জেলায় জেলায় অশান্তি সামলাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর এই দাবি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন তিনি। শুভেন্দুর আবেদনকে গুরুত্ব দিয়ে শনিবার বিকেল সাডে় ৪টে নাগাদ হাই কোর্টে বসছে বিশেষ বেঞ্চ। বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি রাজা বসু চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হতে চলেছে।

দফায় দফায় রাজ্যের ডিজি, এডিজির (আইনশৃঙ্খলা) মতো শীর্ষ পুলিশ কর্তারা সাংবাদিক বৈঠক করে শান্তি বজায়ের আবেদন জানিয়েছেন। গুজব বা অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করলে কড়া শাস্তির হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন ডিজি রাজীব কুমার। সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে শান্তি বজায় রাখার বার্তা দিয়েছেন। সেইসঙ্গে এও নিশ্চিত করেছেন যে কেন্দ্র ওয়াকফ সংশোধনী আইন পাশ করালেও এ রাজ্যে লাগু হবে না। তাই কোনও প্ররোচনায় পা দিয়ে দাঙ্গা না করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

বিরোধীদের দাবি, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ, কেন্দ্রীয় বাহিনী নামিয়ে এসবের মোকাবিলা করতে হবে। আর সেই দাবি নিয়েই শনিবার দুপুরে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু অধিকারী। স্পর্শকাতর এলাকায় আধাসেনা বাহিনী নামানোর পাশাপাশি একগুচ্ছ আবেদন রয়েছে তাঁর।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল, ২০২৫) সুতি ও সামশেরগঞ্জে যে হিংসার আগুন জ্বলে ওঠে, তাতে যেমন বাস, অ্য়াম্বুল্যান্স পুড়েছে, তেমনই জেলার একের পর এক রেল স্টেশনে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠেছে প্রতিবাদীদের একাংশের বিরুদ্ধে। রেলের তরফেও তাদের সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগ সামনে আনা হয়েছে।

এবার এই বিষয়টি নিয়ে সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার (১২ এপ্রিল, ২০২৫) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট করেন তিনি। তাতে ওয়াকফ-প্রতিবাদের নামে রেলের সম্পত্তি নষ্টের ঘটনায় তীব্র ধিক্কার জানান। পাশাপাশি, এ নিয়ে জানান ইতিমধ্য়েই রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। তাতে রেলের সম্পত্তি নষ্টের ঘটনাগুলি একত্রে এনে সবকটির ক্ষেত্রেই জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-কে দিয়ে তদন্ত করানোর দাবি তুলেছেন শুভেন্দু।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার দুপুরের পর থেকেই মুর্শিদাবাদের উপর দিয়ে যাওয়া বিভিন্ন রেল রুটে স্বাভাবিক পরিষেবা ব্যাহত হয়। যার জেরে রাত ৮টার সময় রেলের তরফে একটি বিবৃতিও প্রকাশ করা হয়। তাতে জানানো হয়, এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে, যার সঙ্গে রেলের কোনও সম্পর্ক নেই, তার জেরেই ওই দিন পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। এমনকী, কোথায় কোথায় জনতা রেললাইন অবরোধ করেছিল, সেই সংক্রান্ত তথ্যও ওই বিবৃতিতে তুলে ধরা হয়।

Comments are closed.