চাকরিহারাদের লাথি মেরেছেন, সেই এসআই-কেই কসবাকাণ্ডের তদন্তের দায়িত্ব!

22

কলকাতা, ১১ এপ্রিল: কসবা ডিআই অফিস অভিযানে বিশৃঙ্খলার ঘটনায় চাকরিহারাদের বিরুদ্ধে দুটি এফআইআর দায়ের হয়। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৮টি ধারায় চাকরিহারাদের বিরুদ্ধে দুটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। এই ৮টি ধারার মধ্যে ৩টি আবার জামিন অযোগ্য। দুটি মামলার মধ্যে একটি পুলিশের স্বতঃপ্রণোদিত এফআইআর। আরেকটি কসবার ডিআইয়ের তরফে এফআইআর করা হয়েছে। এই মামলাটির তদন্তে কসবা থানার এসআই রিটন দাস। তাঁর বিরুদ্ধে এক চাকরিহারাকে লাথি মারার অভিযোগ ওঠে। সেই রিটন দাস তদন্তভার পাওয়ায় ক্ষুব্ধ চাকরিহারারা।

এই রিটনকেই গত বুধবার ভাইরাল ভিডিও-তে কসবার ডিআই অফিসের সামনে বিক্ষোভরত চাকরিপ্রার্থীদের লাথি মারতে দেখা গিয়েছিল বলে অভিযোগ।

‘যোগ্য’ চাকরিহারা প্রার্থীরা বুধবার জেলায় জেলায় ডিআই অফিস অভিযান করেছিলেন। কসবায় সেই অভিযানে গোলমাল হয়। অভিযোগ, ডিআই নিজের দফতরে ছিলেন না। বরং তাঁর দফতর তালাবন্ধ ছিল। মিছিল করে সেখানেই যান চাকরিহারারা। অভিযোগ, কেউ কেউ তালা ভেঙে দফতরে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। ওই ঘটনার পর ডিআই নিজে একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। লালবাজার সূত্রে খবর, সেই মামলার তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে রিটনকে।

আজ শুক্রবার বেলার দিকে বিকাশ ভবনে চাকরিহারাদের সঙ্গে কথা বলবেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ওই বৈঠকে চাকরিহারাদের ৮ জন প্রতিনিধি যাবেন বলে এখনও পর্যন্ত ঠিক হয়েছে। বৈঠকে থাকবেন এসএসসির চেয়ারম্যান এবং অন্য প্রতিনিধিরা। পাশাপাশি বৃহস্পতিবার রাত থেকে সল্টলেকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের দফতরের সামনে অনশন শুরু করেছেন তিন জন চাকরিহারা শিক্ষক। রাতে ঝড়বৃষ্টির মধ্যেও সেখানেই ঠায় বসে রইলেন তাঁরা। অনশনকারীদের মধ্যে আছেন সুমন বিশ্বাস, পঙ্কজ রায় এবং প্রতাপ রানা।

প্রসঙ্গত এসএসসি নিয়োগ মামলায় ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তার ফলে প্রায় ২৬ ০০০ জনের চাকরি গিয়েছে। এঁদের মধ্যে অযোগ্যদের সঙ্গে অনেক যোগ্য প্রার্থীও আছেন। চাকরি ফেরানোর দাবিতে পথে নেমেছেন তাঁরা। এসএসসি মামলায় মূল জটিলতা তৈরি হয়েছে যোগ্য এবং অযোগ্যদের বাছাই নিয়ে। উত্তরপত্রের তথ্য উদ্ধার করা যায়নি। তাই যোগ্য কারা এবং অযোগ্য কারা, আলাদা করা যায়নি। সেই কারণেই সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করতে হয়েছে। আদালতের নির্দেশের পর উত্তরপত্র বা ওএমআর শিটের ‘মিরর ইমেজ’ প্রকাশ্যে আনার দাবি জানাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা।

Comments are closed.