ওয়াকফ আইন বাংলায় লাগু হবে না। সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেবেন তিনিই। ফের সংখ্যালঘুদের উদ্দেশ্যে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। বিরোধী দলনেতার দাবি, মুখ্যমন্ত্রী জালি হিন্দু। বিরোধীদের আক্রমণের মধ্যেও মমতার অবস্থান সর্বধর্মসমন্বয়েই।
ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে উত্তেজনা ছড়ায় মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে ৷ ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের জেরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘুদের শান্ত থাকার আহ্বান মুখ্যমন্ত্রীর। নেতাজি ইন্ডোরে বুধবার জৈন সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলায় বিভাজনের রাজনীতি চলবে না। কিন্তু এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যতক্ষণ দিদি আছে ততক্ষণ আপনাদের সুরক্ষা দেবে। সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে কেন্দ্রীয় আইন বাংলায় লাগু হবে না।
বিজেপি বলছে, বাংলায় হিন্দু ধর্মকে রক্ষা করা হয় না, কে বলেছে? ইদে আমন্ত্রণ করলে যাব না? বিজেপিকে আক্রমণ মমতা। দেশভাগের আগে সবাই একসঙ্গেই থাকত। এখন যারা সংখ্যালঘু তাদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আমার। মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন, কোনও উসকানিতে পা দেবেন না। একসঙ্গে থাকলে দেশ এগোবে। তাই কারও সম্পত্তি নেওয়ার অধিকার কারও নেই। ওয়াকফ আইন নিয়ে ফের একবার কেন্দ্রকে আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীর।
কিন্তু কড়া হিন্দুত্বের লাইনের ব্যাটিং বিরোধী দলনেতার! শুভেন্দুর প্রশ্ন, দীঘায় সরকারি টেন্ডারে লেখা জগন্নাথ দেব সাংস্কৃতিক কেন্দ্র অথচ মুখ্যমন্ত্রী কেন জগন্নাথ মন্দির বলে চালাচ্ছেন?
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা যখন মুখ্যমন্ত্রীকে বেলাগাম আক্রমণ করছেন তখন মুখ্যমন্ত্রী বললেন, তাঁকে খুন করলেও তিনি সর্বধর্মসমন্বয়ের কথাই বলবেন। তবে শুধু ওয়াকফ সংশোধনী আইনই নয়, এর আগেও সিএএ আইনে পরিণত হওয়ার পরেও মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন তিনি তা বাংলায় লাগু হতে দেবেন না। সে সময় প্রতিবাদের নামে একাধিক রেলস্টেশনে আগুন লাগিয়ে নষ্ট করা হয়েছিল সরকারি সম্পত্তি। এবারও ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে একই ছবি একই জেলার জঙ্গিপুরে। পুলিশের সামনেই জ্বলে পুড়ে খাক পুলিশের গাড়ি। যদিও ২৪ ঘণ্টার পরই শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
Comments are closed.