ট্রাম্পকে যোগ্য জবাব চীনের, মার্কিন পণ্যের উপর ৮৪% শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত

10

বেইজিং, ৯ই এপ্রিল, ২০২৫: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (United States) প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে, চীন (China) মার্কিন পণ্যের (US Goods) উপর ৮৪ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক (Tariff) চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে চীন, আমেরিকার বিরুদ্ধে একটি যোগ্য জবাব দিতে চেয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

চীন সরকার এই শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত খুব শীঘ্রই কার্যকর করবে। এর ফলে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনে আসা বিভিন্ন ধরনের পণ্যের দাম বাড়বে, যা দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্কে (Trade relations) আরও উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।

চীনের এই পদক্ষেপের মূল কারণ হল ডোনাল্ড ট্রাম্পের সেই ঘোষণা, যেখানে তিনি চীনের তৈরি বিভিন্ন পণ্যের উপর শুল্ক বাড়ানোর কথা বলেছিলেন। ট্রাম্পের অভিযোগ ছিল, চীন দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে (Trade agreement) অসততা করে আসছে, এবং সেই কারণেই তিনি চীনের উপর আরও বেশি শুল্ক চাপাতে চান। [Donald Trump China Tariffs]

তবে, চীনের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। চীনের বিদেশ মন্ত্রকের (Foreign Ministry) মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাদের দেশ সবসময় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়মকানুন মেনে চলে। তারা মনে করে, আমেরিকার এই শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত বিশ্ব বাণিজ্যের (Global trade) জন্য ক্ষতিকর।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চীনের এই নতুন শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধকে (Trade war) আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। এর ফলে, শুধু এই দুটি দেশ নয়, সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে (Global economy) এর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। কারণ, এই দুটি দেশ বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির মধ্যে অন্যতম।

এই পরিস্থিতিতে, অনেক ব্যবসায়ী এবং অর্থনীতিবিদ মনে করেন, দুই দেশের উচিত আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা। যদি এই বাণিজ্য যুদ্ধ চলতে থাকে, তাহলে এর ফলস্বরূপ বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়বে, যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে আরও কঠিন করে তুলবে। [Impact on Global Economy]

চীনের এই পদক্ষেপের ফলে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনে আসা সয়াবিন (Soybean), ভুট্টা (Corn), এবং অন্যান্য কৃষিজাত পণ্যের (Agricultural products) দাম বাড়তে পারে। এছাড়াও, আমেরিকার তৈরি গাড়ি (Cars), ইলেকট্রনিক্স (Electronics), এবং অন্যান্য শিল্পজাত পণ্যের দামেও পরিবর্তন আসতে পারে।

অন্যদিকে, চীনের তৈরি যে সমস্ত পণ্যের উপর আমেরিকা শুল্ক বাড়ানোর কথা বলছে, তার মধ্যে প্রধান হল ইলেকট্রনিক্স, বস্ত্র (Textiles), এবং অন্যান্য শিল্পজাত পণ্য। এর ফলে, আমেরিকার বাজারে এই পণ্যগুলির দাম বাড়তে পারে।

এখন দেখার বিষয় হল, এই পরিস্থিতিতে দুই দেশ কিভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়। যদি তারা আলোচনার মাধ্যমে কোনো সমাধান খুঁজে বের করতে পারে, তাহলে হয়তো এই বাণিজ্য যুদ্ধ এড়ানো সম্ভব। কিন্তু যদি পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যায়, তাহলে এর ফলস্বরূপ বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, বিভিন্ন মহল থেকে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া আসছে। কেউ বলছেন, চীনের এই পদক্ষেপ আমেরিকার উপর চাপ সৃষ্টি করার একটি কৌশল, আবার কেউ বলছেন, এটা চীনের আত্মরক্ষার একটা উপায়। তবে, এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, দুই দেশ কিভাবে এই সমস্যার সমাধান করে এবং বিশ্ব অর্থনীতিকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায়।

(China retaliatory tariffs 2025) (US China trade war update) (Impact of tariffs on global trade) (China’s response to Trump) (US China trade relations news) (Global economic impact)

Comments are closed.