US tariff 2025 : ওষুধ আমদানিতেও শুল্ক আরোপ করবে ট্রাম্প? ভারতের ওষুধ শিল্পে বড়সড় প্রভাবের আশঙ্কা

12

(US tariff 2025) (Pharmaceutical imports) (Donald Trump news)

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে (United States) ওষুধ আমদানির উপর খুব শীঘ্রই একটি বড় ধরনের শুল্ক (Tariff) আরোপ করা হবে। এর ফলে ভারতের ওষুধ শিল্পে (Indian Pharmaceutical Industry) বড়সড় প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে, ভারতের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি (Pharmaceutical companies) এবং অর্থনীতিবিদরা (Economists) গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের প্রধান উদ্দেশ্য হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ওষুধ উৎপাদনকে উৎসাহিত করা। তিনি মনে করেন, অন্য দেশের উপর ওষুধের জন্য নির্ভরতা কমিয়ে নিজেদের দেশে ওষুধের উৎপাদন শুরু হলে কর্মসংস্থান বাড়বে (Employment) এবং ওষুধের দামও কমবে (Drug prices)। তবে, এই যুক্তির বিরোধিতা করে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, এর ফলে আদতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই ওষুধের দাম বাড়বে, কারণ ভারতের থেকে কম দামে জেনেরিক ওষুধ (Generic medicine) পাওয়া প্রায় অসম্ভব।

ভারতের ওষুধ শিল্প আমেরিকার জেনেরিক ওষুধের বাজারের (Generic medicine market) একটা বড় অংশ। ভারতের ফার্মাসিউটিক্যালস এক্সপোর্ট promotion কাউন্সিল-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে ভারত থেকে প্রায় ৮.৭ বিলিয়ন ডলারের ওষুধ (Medicine exports) আমেরিকাতে রপ্তানি করা হয়েছে। এই পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায়, আমেরিকা ভারতের কত বড় একটা বাজার। ডঃ রেড্ডিস, অরবিন্দ ফার্মা, জাইডাস লাইফ সায়েন্সেস, সান ফার্মা এবং গ্ল্যান্ড ফার্মার মতো সংস্থাগুলি তাদের মোট আয়ের ৩০-৫০ শতাংশ পর্যন্ত আমেরিকার বাজার থেকে পায়। যদি আমেরিকা ওষুধের উপর শুল্ক বাড়ায়, তাহলে এই সংস্থাগুলির ব্যবসায়ে বড় ধাক্কা লাগবে। (Business impact)

বিশেষজ্ঞরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন যে, এর আগে যখন ট্রাম্প স্টিল (Steel) এবং অ্যালুমিনিয়ামের (Aluminium) উপর শুল্ক চাপিয়েছিলেন, তখনো একই রকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেই শুল্কের কারণে ভারতের অর্থনীতিতে (Indian economy) একটা চাপ সৃষ্টি হয়েছিল, কারণ ভারতের অনেক স্টিল এবং অ্যালুমিনিয়াম প্রস্তুতকারক সংস্থা আমেরিকার বাজারের উপর নির্ভরশীল।

তবে এই শুল্ক চাপানোর ফলে শুধু ভারতের ওষুধ শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এমনটা নয়। আমেরিকার স্বাস্থ্যখাতেও এর খারাপ প্রভাব পড়বে। ভারতের জেনেরিক ওষুধগুলি আমেরিকার বাজারে ওষুধের দাম কমিয়ে রাখতে সাহায্য করে। যদি সেই ওষুধের দাম বাড়ে, তাহলে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবা নেওয়ার খরচ বাড়বে। (Healthcare costs) অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ আদতে আমেরিকার নিজেদের লোকেরই ক্ষতি করবে।

এখন দেখার বিষয় হল, ট্রাম্প প্রশাসন এই শুল্ক কতটা বাড়ায়, আর তার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত কী পদক্ষেপ নেয়। ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এই বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে, যাতে ওষুধের উপর শুল্ক না বাড়ানো হয়, অথবা কম রাখা হয়। যদি শেষ পর্যন্ত শুল্ক চাপানো হয়, তাহলে ভারতের ওষুধ সংস্থাগুলোকে নতুন বাজারের (New market) সন্ধান করতে হবে, এবং অন্য দেশে ওষুধ রপ্তানির চেষ্টা করতে হবে।

এই পরিস্থিতিতে, ভারতের ওষুধ শিল্পের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা বলা কঠিন। তবে এটা নিশ্চিত যে, ট্রাম্পের এই ঘোষণা ভারতের ওষুধ শিল্পের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ (Challenge)। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে, ভারত সরকারকে এবং ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

(US tariff 2025) (Pharmaceutical imports) (Donald Trump news)

Comments are closed.