থমকে ভারত-ভুটান যৌথ নদী কমিশন

17

ফের ভারত-ভুটান কমিশন নিয়ে সরব আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। সামনেই বর্ষা আর এই বর্ষার মরশুমে ভুটান থেকে থেকে নেমে আসা নদীগুলিতে জলের পরিমাণ বাড়তে থাকে। এরফলে আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁ,মাদারিহাটের টোটো পাড়ার হাউড়ি,বাংরি,তিতি,দয়ামারা, বাছড়া, জয়ন্তী, নদীগুলি ফুলে ফেঁপে ওঠে। এছাড়াও ১২ টি ঝোরা রয়েছে টোটো পাড়ায়।

এই সময় শহরের সাথে পুরোপুরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে টোটো পাড়াতে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা যেতে পারে না স্কুলে। এমনকি এই অঞ্চলে কোনও ব্যাক্তি অসুস্থ হলে তাকে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নদীর উপর দিয়ে যাতায়াত করে শহরের হাসপাতালে পৌঁছতে হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি দ্রুত এই নদী গুলোর উপর ব্রিজ নির্মাণ করুক সরকার। উল্লেখ্য ১১ ই মার্চ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস টোটো পাড়ার সেনাবাহিনীর এক অনুষ্ঠানে এসে এই সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই বিষয়টি তুলে ধরবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের।

এছাড়াও শিসামাড়া নদীর জল জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে ঢুকে দারুণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে গোটা এলাকাকে। পাশাপাশি জয়গাঁর বিস্তীর্ণ অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্থ হয় এরফলে। প্রতিবছর বাঁধ দেওয়া হয় সেই বাঁধও ভেঙে যায়।

বিধানসভায় এই প্রস্তাব বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল উত্থাপন করার পর মুখ্যমন্ত্রীও এই বিষয়টি নিয়ে আলোকপাত করেন। বিধানসভায় সিদ্ধান্ত হয় যে এই বিষয়ে শাসক-বিরোধী উভয় তরফের এক প্রতিনিধি দল দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আর্জি জানাবে। যদিও বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালের অভিযোগ বিধানসভায় সিদ্ধান্ত হলেও বিজেপি বিধায়করা এই বিষয় নিয়ে কোনও আগ্রহ প্রকাশ করেনি।

অন্যদিকে বিজেপি বিধায়ক দীপক বর্মন বলেন ভারত-ভুটান নদী কমিশন বিষয়টি তৃণমূল কংগ্রেস বিধানসভায় উত্থাপন করেছিল এটা সত্যি কিন্তু সর্বদলীয় প্রতিনিধিদের দল দিল্লিতে পাঠানো নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি রাজ্য সরকার। তার মতে তৃণমূল কংগ্রেস শুধুমাত্র রাজনীতিটাই করে সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করে না।

Comments are closed.