Delhi Pollution : আজ আরও ‘ভয়ানক’ দিল্লির দূষণ। বাতাসের AQI লেভেল ৫০০ ছুঁইছুঁই। দিল্লিতে বাতাসের গুণমান সূচক ৪৯৪ পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। বাতাসের গুণমান সূচক সবথেকে কম ছিল দ্বারকায়। দৃশ্যমানতা অত্যন্ত কম, কয়েক হাত দূরেও দেখা যাচ্ছে না। দৃশ্যমানতা কম থাকায় দিল্লির ট্রেন পরিষেবাও কিছুটা বিঘ্নিত। অন্তত ২২টি ট্রেন দেরিতে চলছে এবং ৯টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। আংশিক ব্যাহত হয়েছে বিমান পরিষেবাও। দূষণ নিয়ন্ত্রণে ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে চতুর্থস্তরের পদক্ষেপ। চতুর্থ স্তরের নিয়ন্ত্রণবিধি শিথিল করা যাবে না, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। আজ থেকে বন্ধ হয়েছে স্কুলের সব ক্লাস। অনলাইনেই চলছে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস।
দূষণ নিয়ে সুপ্রিম ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে দিল্লি ও কেন্দ্রীয় সরকার। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, নবম শ্রেণী নয়, দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধির চতুর্থ স্তরের নিষেধাজ্ঞা চালু থাকবে।
গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে দিল্লি। প্রায় সপ্তাহখানেক ধরে দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকা ভয়াবহ দূষণে ভরে গিয়েছে। তবে সোমবার দূষণের মাত্রা সবকিছুকে ছাপিয়ে বিপজ্জনক মাত্রায় চলে গিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস। বাতিল হয়েছে একাধিক বিমান। দিল্লির দূষণের দায় কেন্দ্রের ঘাড়েই চাপিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী আতিশী মারলেনা।
রবিবারই কেন্দ্রের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ দিল্লি এনসিআরের দূষণ পরিস্থিতি নিয়ে চূড়ান্ত উদ্বেগ প্রকাশ করে। তারপরই এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন আতিশী।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশিকা। নবম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের ক্লাস বন্ধ থাকবে। নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের জন্য অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করবে স্কুল কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী নোটিস না দেওয়া পর্যন্ত অনলাইন ক্লাস চলবে। শুধুমাত্র দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা পঠনপাঠনের জন্য স্কুলে আসবে। রাজধানীতে ঢুকতে পারবে না বাইরের কোনও ট্রাক। নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বহনকারী ট্রাক।
ধোঁয়ার চাদরে মুখ ঢেকেছে দিল্লি। গাঢ় ধোঁয়াশার জেরে দৃশ্যমানতা নেমেছে ১৫০ মিটারে। স্বাভাবিকভাবেই রাজধানীর আকাশে বিমান চলাচল বিঘ্নিত হয়েছে। দিল্লিগামী ৫টি উড়ান ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। বাতিল হয় ৭টি উড়ান। নির্দিষ্ট সময়ের থেকে অনেক দেরিতে ওঠানামা করেছে ১৬০টি বিমান।
দিল্লির দূষণ রুখতে আরও ও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে সোমবার সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলার শুনানি হয়। এদিনের শুনানিতে দূষণ নিয়ন্ত্রণে গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান বা জিআরএপি -৪ চালু করতে দেরি হওয়ায় কেন্দ্র ও দিল্লি সরকারকে একই বন্ধনীতে রেখে তীব্র ভর্ৎসনা করে শীর্ষ আদালত। আদালতের নির্দেশ, আদালতের অনুমতি ছাড়া জিআরএপি-৪ প্রত্যাহার করা যাবে না। জিআরএপি-৪ লাগু করতে বায়ু দূষণের মাত্রা ৩০০ পেরনো পর্যন্ত কেন অপেক্ষা করবে সরকার? দিল্লি সরকার এত বড় ঝুঁকি কেন নেবে? দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সমস্ত স্কুল বন্ধ থাকবে।
দূষণ রুখতে দিল্লি সরকার আগেই ৮ দফা বিধিনিষেধ জারি করেছে। দূষণের জেরে ইতিমধ্যেই রাজধানীর শিশু ও বয়স্করা শ্বাসজনিত সমস্যায় ভুগছেন।