শনিবার সাত সকালে ফিরল করমণ্ডল দুর্ঘটনার স্মৃতি। হাওড়ার নলপুর স্টেশনের কাছে লাইনচ্যুত ডাউন শালিমার সেকন্দ্রাবাদ সাপ্তাহিক এক্সপ্রেস(Secunderabad Shalimar Express)। গতি কম থাকায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে। ঘটনার জেরে ব্যাহত হয় হাওড়া দক্ষিণ-পূর্ব শাখায় ট্রেন চলাচল।
আজ ভোর সাড়ে ৫টা। নলপুর স্টেশনে এক নম্বর লাইন দিয়ে ছুটছিল সেকেন্দ্রাবাদ-শালিমার সাপ্তাহিক এক্সপ্রেস। অনেকেই নামার জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন। আচমকাই একটা ঝাঁকুনি। সঙ্গে কান ফাটানো আওয়াজ। সম্বিত ফিরতে দেখা গেল লাইনচ্যুত হয়েছে সেকেন্দ্রাবাদ-শালিমার সাপ্তাহিক এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন ও তিনটি বগি।
শনিবারের এই ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর নেই বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক। আটকে পড়া যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে রেলের তরফে সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়। দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজ তদারকি করেন দক্ষিণ পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার।
তবে নলপুরের কাছে ট্রেনটির গতি তুলনামূলক কম ছিল। আর ধীরগতির কারণেই বড় দুর্ঘটনা এড়িয়ে গিয়েছে ৷ দ্রুতগতিতে ছুটলে ট্রেন দুর্ঘটনার অভিঘাত বড়সড় হতে পারতো ৷
দুর্ঘটনার জেরে বাতিল করা হয়েছে অনেক ট্রেন। দুর্ভোগের মুখে পড়েছে যাত্রীরা ৷ অনেকেই হাওড়ায় দূরপাল্লার ট্রেন ধরতে এসে আটকে পড়েন। হয়রানির শিকার হন তাঁরা।
জুন মাসে উত্তরবঙ্গের রাঙাপানি স্টেশনে লাইনচ্যুত হয়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। এরপর আবার দুর্ঘটনার দুঃস্বপ্ন ফিরল নলপুরে। একের পর দুর্ঘটনায় যাত্রী নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে।