পুজো পুজো পুজো…পুজো শেষ। সর্বত্র এখন বিষাদের ছায়া। দুয়ারে কড়া নাড়ছে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো। এই ঘন বিষাদ থেকে মুক্তি দিতেই হয়ত আসছে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো। এখন নতুন ব্যস্ততা প্রতিমা কারখানায়। বাঙালির ঘরে ঘরে লক্ষ্মী পুজার ধুম পড়বে। এখন নতুন উদ্যমে লক্ষ্মী প্রতিমা গড়ায় ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা।
সম্পদ ও সমৃদ্ধির দেবী লক্ষ্মী। কোজাগরী পূর্ণিমায় সারা রাত জেগে লক্ষ্মীর আরাধনা করেন গৃহস্থ। দেবীপক্ষের শেষ পূর্ণিমায় কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো হয়।
প্রায় প্রতিটি গৃহস্থ বাড়িতে মা-কে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি চলছে। নাডৃ়ু-মোয়া বানানোর তোড়-জোর গৃহবধূদের। আগামী ১৬ এবং ১৭ অক্টোবর লক্ষ্মীপুজো হবে বাংলার ঘরে ঘরে। এবারে ২ দিন পড়েছে লক্ষ্মীপুজোর তিথি। তিথি অনুযায়ী কখন করা যাবে লক্ষ্মীপুজো, দেখে নিন একনজরে।
গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে, বাংলা-৩০ আশ্বিন, বুধবার। ইংরেজি– ১৬ অক্টোবর বুধবার সন্ধে ৭টা ৪২ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড গতে পূর্ণিমা তিথি আরম্ভ। পরদিন অর্থাৎ ১৭ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ১৭ মিনিট ৩৬ সেকেন্ড গতে পূর্ণিমা তিথি শেষ।
আবার বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে, বুধবার রাত ৮টা ৪১ মিনিট গতে কোজাগরী পূর্ণিমা তিথি শুরু। পরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে ৫৬ মিনিটে পূর্ণিমা তিথি শেষ। তাই এই সময়ের মধ্যে লক্ষ্মীদেবীর আরাধনা করতে পারেন।
কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন বাংলার প্রতিটি ঘর মুখরিত হয়ে ওঠে শঙ্খধ্বনিতে। এই পুজো হয় মূলত প্রতিমা, সরা, নবপত্রিকা কিংবা থোড়ের তৈরি নৌকোয়। লক্ষ্মীর সরাও হয় নানারকমের। অঞ্চলভেদে লক্ষ্মীর সরায় তিন, পাঁচ, সাতটি পুতুল আঁকা হয়। তাতে থাকে লক্ষ্মী, জয়া বিজয়া-সহ রাধা কৃষ্ণ, সপরিবার দুর্গা ইত্যাদি।