Sitaram Yechury Death : ২৫ দিনের জীবনযুদ্ধ শেষ, প্রয়াত সিপিএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি
Sitaram Yechury Death : ২৫ দিনের জীবনযুদ্ধ শেষ। বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টে ৩ মিনিটে দিল্লির এইমসে প্রয়াত সিপিএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। বয়স হয়েছিল ৭২। শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণের কারণে ১৯ অগাস্ট এইমসে ভর্তি হয়েছিলেন ইয়েচুরি। শেষ পর্যন্ত আর একেজি ভবনে ফেরা হল না এই প্রবীণ বামনেতার। প্রয়াত বামনেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
মাদ্রাজে এক তেলুগুভাষী পরিবারে জন্ম সীতারাম ইয়েচুরির। অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাড়ায় ১৯৫১ সালের ১২ অগাস্ট জন্মগ্রহণ করেন তিনি। হায়দরাবাদের অল সেন্টস হাই স্কুলে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা। দিল্লির প্রেসিডেন্টস এস্টেট স্কুল হায়ার সেকেন্ডারি থেকে সিবিএসই পরীক্ষায় সর্বভারতীয় প্রথম স্থান লাভ করেন। সেন্ট স্টিফেন কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর।
জেএনইউয়েই ইয়েচুরির বামপন্থী ছাত্র রাজনীতিতে যোগ
১৯৭৮-এ এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সভাপতি
১৯৯২ সালে সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য
২০০৫ সালে পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভা সাংসদ
২০১১ সালে দ্বিতীয়বার রাজ্যসভা সাংসদ
২০১৫ সাল থেকে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক
বাম রাজনীতি তো বটেই দেশের রাজনীতিতেও ইয়েচুরি সকলের কাছে ছিলেন গ্রহণযোগ্য নেতা। সংসদ ভবন থেকে মেঠো রাজনীতি, সর্বত্রই ছিল ইয়েচুরির সাবলীল গতি।
সদাহাস্যময় এই বামনেতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ইয়েচুরি প্রয়াণে আমি শোকাহত। তাঁর সুন্দর ব্যবহারের জন্য তিনি সকলের কাছেই প্রিয় ছিলেন। সাংসদ হিসাবে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তাঁর পরিবার ও সমর্থকদের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা রইল। ওঁ শান্তি।
বামনেতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, সীতারাম ইয়েচুরির মৃত্যুর খবরে আমি মর্মাহত। বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সীতারামকে জানতাম, তাঁর মৃত্যু ভারতীয় রাজনীতির জন্য বড় ক্ষতি। তাঁর পরিবার, বন্ধু ও সহকর্মীদের আমি সমবেদনা জানাই।
ইয়েচুরির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন দেশের বিরোধী নেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। রাহুল তাঁর শোকবার্তায় লিখেছেন, সীতারাম ইয়েচুরি ছিলেন আমার বন্ধু। ভারত নামক ধারণার প্রহরী, আমাদের দেশ সম্পর্কে ছিল গভীর উপলব্ধি। তাঁর সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা মিস করব। এই শোকের সময় তাঁর পরিবার, বন্ধু, অনুগামীদের প্রতি আমার সমবেদনা।
এক মাসের মধ্যে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও ইয়েচুরির মৃত্যু বাম রাজনীতিতে এক বড় মাপের শূন্যতা তৈরি করল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। দলীয় তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় বসন্তকুঞ্জের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে বাম নেতার দেহ। শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য শনিবার বেলা ১১ টা থেকে ৩ টে পর্যন্ত দিল্লির গোল মার্কেট কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শায়িত থাকবে প্রয়াত নেতার দেহ। এর পরই এইমসে দেহ দান করা হবে।