Cyclone Asna : আবারও তৈরি হল এক ঘূর্ণিঝড়। গুজরাট উপকূলের কাছে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘আসনা’। এর প্রভাবে গুজরাটে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমশ আরব সাগরের দিকে সরছে। এর প্রভাব কি বাংলায় পড়তে পারে? এমনই প্রশ্ন উঠছে। এই নিয়ে মুখ খুলল আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, কচ্ছ ও সংলগ্ন পাকিস্তান উপকূলের কাছে উত্তর-পূর্ব আরব সাগরে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় আসনা পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে এখন গুজরাটের নালিয়া থেকে ৩১০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থান করছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এটি ভারতীয় উপকূল থেকে দূরে সরে যেতে পারে। আগামী পাঁচ দিন রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই।
এদিকে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বাংলায় ঘূর্ণিঝড়ের কোনও প্রভাব পড়বে না। ওটা আরব সাগরে তৈরি হয়েছে। বাংলায় কোনও প্রভাব পড়বে না। রাজ্যের কোথাও কোথাও হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে। তবে ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী পাঁচ দিন গুজরাটের কোথাও ভারী বৃষ্টির জন্য লাল সতর্কতা জারি করা হয়নি। তবে কচ্ছ, জামনগর, দ্বারকা, পোরবন্দর, নবসারি, ভালসাদ, দমন এবং দাদরা ও নগর হাভেলি সহ বেশ কয়েকটি জেলায় আজ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
রবিবার শুধুমাত্র নভসারি, ভালসাদ, দমন এবং দাদরা নগর হাভেলিতে হলুদ সতর্কতা জারি থাকবে।
সোমবার ভদোদরা এবং ছোট উদয়পুরে কমলা সতর্কতার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, তবে ভাবনগর, আনন্দ, পাঁচমহল, দাহোদ, ভারুচ এবং নর্মদা হলুদ সতর্কতার অধীনে থাকবে।
সম্প্রতি রাজ্যে গত চার দিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে, যার ফলে গুজরাট জুড়ে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে আনন্দ (৬), আহমেদাবাদ (৫), মহিসাগর (৩), জামনগর (৩), খেদা (২), গান্ধীনগর (২), দাহোদ (২), সুরেন্দ্রনগর (২), আরাবল্লী (১), দ্বারকা (১), পাঁচমহল (১), ডাং (১), ভারুচ (১), মোরবি (১) এবং ভদোদরা (১)।
ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ক্ষতি হয়েছে, ৬,৪১৪ টি অস্থায়ী বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং ৩৮০ টি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে। এছাড়া ২৮৯টি স্থায়ী ঘরবাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ১৮টি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে।
বন্যা মোকাবেলায় সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও স্থানীয় পুলিশ উদ্ধার অভিযান চালিয়েছে, যার ফলে গত চার দিনে ২ হাজার ৫৭২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।