Mamata Banerjee : “বাংলায় আগুন লাগালে, কোনও রাজ্যই থেমে থাকবে না”, হুঁশিয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
মেয়ো রোডে ছাত্র সমাবেশের মঞ্চ থেকে হুঁশিয়ারি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বললেন বাংলায় আগুন লাগালে অসমও থেমে থাকবে না, নর্থ ইস্টও থেমে থাকবে না। উত্তরপ্রদেশ , বিহার, ওডিশা, ঝাড়খণ্ড, দিল্লিও থেমে থাকবে না। আমাদের রক্তচক্ষু দেখাবেন না – পাল্টা হিমন্তের।
পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ২৭ তম প্রতিষ্ঠা দিবসে মেয়ো রোডের মঞ্চে ভাষণ দিতে গিয়ে রীতিমতো উত্তেজিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্ধের ডাক দেয় বিজেপি। আর বুধবার দুপুরে মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রীতিমতো চ্যালেঞ্জ জানান প্রধানমন্ত্রীকে। তিনি বলেন, “কেউ কেউ মনে করছেন এটা বাংলাদেশ। আমি ওদের ভালবাসি। ওদের সংস্কৃতি আমাদের সংস্কৃতি এক। তবে এটা আলাদা রাষ্ট্র। ভারতবর্ষ একটা আলাদা রাষ্ট্র। বাংলায় যদি আগুন লাগান, কোনও রাজ্যই থেমে থাকবে না। বাংলায় আগুন লাগালে অসম থেমে থাকবে না। উত্তর-পূর্ব, উত্তর প্রদেশ থেমে থাকবে না। বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা এবং দিল্লিও থেমে থাকবে না। আপনার চেয়ারটা আমরা টলমল করে দেব।”
“বাংলায় যদি আগুন লাগান, কোনও রাজ্যই থেমে থাকবে না।” মমতার এই মন্তব্যের বিরোধিতা করে সরব হয়েছেন একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যের পরেই পাল্টা অসমের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ হিমন্তবিশ্ব শর্মার। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, “দিদি, আপনার এত সাহস হল কীভাবে যে অসমকে হুমকি দিচ্ছেন? আমাদের রক্তচক্ষু দেখাবেন না। বিভাজনকারী ভাষা বলাটা আপনার শোভা পায় না।”
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে অসমের মন্ত্রী পীযূষ হাজারিকা বলেন যিনি নিজের রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না তিনি এসেছেন আমাদের হুমকি দিতে। মন্ত্রী পীযুষ হাজারিকা বলেন ডাক্তারদের, মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ মমতা সরকার।
মমতার মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, “তৃণমূল সরকারের নারী বিরোধী আচরণ গণতন্ত্রের লজ্জা।” মমতার মন্তব্যের বিরোধিতা করে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি বলেন, “ওড়িশার সম্পর্কে আপত্তিজনক মন্তব্য করার অধিকার আপনাকে কে দিয়েছে? ওড়িশা শান্তিপূর্ণ রাজ্য। এখানকার মানুষ দায়িত্ববান।” এই ধরনের মন্তব্য না করার অনুরোধ জানান ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী।
মমতার এই মন্তব্যের নিন্দা মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং-এর। মমতাকে ক্ষমা চাইতে বললেন তিনি।