প্রমাণ লোপাট থেকে শুরু করে ৯ই আগস্ট ঘটনার পর সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন শীর্ষ আদালতের। কেন এফআইআর করতে এত দেরী? কেনই বা তড়িঘড়ি মৃতদেহ সৎকার। সুপ্রিম প্রশ্নে রাজ্যের ভূমিকাও।
আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের ভূমিকা নিয়ে বার বার প্রশ্ন তুলছেন নির্যাতিতার পরিবার। ঘটনার পর কেন অধ্যক্ষকে চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে বহাল করা হল, কেনই বা তড়িঘড়ি সেমিনার রুমের পাশের ঘরের দেওয়াল ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন সন্দীপ, এরকম একাধিক প্রশ্নে জর্জরিত রাজ্য। তারই মধ্যে সন্দীপের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন শীর্ষ আদালতেরও। প্রধান বিচারপতি জানান যে অভিযোগ উঠেছে, তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হয়েছে। অধ্যক্ষ এটিকে আত্মহত্যা বলে চালাতে চেয়েছিলেন। এমনকি পরিবারকে মৃতদেহ দেখতে দেওয়া হয়নি। যদিও রাজ্যের তরফে আইনজীবী তখন জানান, এই অভিযোগগুলি সম্পূর্ণ সঠিক নয়।
সে কথা শুনে প্রধান বিচারপতি বলেন, “এটি পরিষ্কার যে খুন করা হয়েছে। প্রথমে এফআইআরে কি তা উল্লেখ ছিল? অধ্যক্ষ কী করেছেন?”
সন্দীপ ঘোষ আরজি করের অধ্যক্ষ পদে ইস্তফা দেওয়ার পর কী ভাবে তাঁকে আবার অন্য কোথাও বদলির নির্দেশ দেওয়া হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট। কার অভিযোগের ভিত্তিতে এবং কখন প্রথম এফআইআর দায়ের হয়েছিল, সেই তথ্য জানতে চান বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা। জবাবে রাজ্যের আইনজীবী জানান, “বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে মৃতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথম এফআইআর হয়েছিল। পরে অধ্যক্ষ অভিযোগ জানান।” এর পরই প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন করেন, “সৎকারের জন্য মৃতদেহ কখন পরিবারকে দেওয়া হয়? এফআইআর দায়ের হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দেহ দিয়ে দিলেন?” আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের ভূমিকা নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠল সুপ্রিম কোর্টে।
প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, “বিকালে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয় খুন। এফআইআর দায়ের হয়েছিল বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে। তার আগে কী করছিলেন অধ্যক্ষ ও কলেজ কর্তৃপক্ষ? ওই সময়ে মৃতার বাবা-মা ছিলেন না। হাসপাতালের দায়িত্ব ছিল এফআইআর দায়ের করা।”
প্রধান বিচারপতি জানতে চান, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে সাসপেন্ড করা হয়েছে কি না।
জবাবে রাজ্য জানায়, তাঁকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।
একাধিক অসঙ্গতি। তারই মধ্য়ে পুলিশ, প্রশাসন ও আরজিকরের প্রাক্তন অধ্য়ক্ষ সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন। ক্রমশই উত্তাল হচ্ছে রাজনীতি। চাপে শাসক দল। আরজিকর কাণ্ডই কী শাসকের তিরে এসে তরী ডোবাবে?