হু হু করে নদীগুলিতে বাড়ছে জল। একটানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন শহরের একাধিক জায়গা। শহরে ফিরল জমা জলের চেনা ছবি। পার্ক সার্কাস, পামার বাজার ঠনঠনিয়া একাধিক এলাকা জনমগ্ন। জলমগ্ন সেক্টর ফাইভ এবং সল্টলেকের বিভিন্ন ব্লক। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি কোমর সম্ভবনা। তবে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি বাড়বে। উত্তরবঙ্গের ৩ জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভবনা।
টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। দমদম বিমান বন্দরের রানওয়েতে জমল জল। বিমান ওঠা নামায় বিঘ্ন। জলের মধ্যেই দাঁড়িয়ে রয়েছে বিমানগুলি।
কার্যত বন্যা পরিস্থিতি একাধিক জেলায়। ভাসছে একের পর এক জেলাও। বিঘার পর বিঘা জমি গিলে খাচ্ছে রাক্ষুসে নদী। ডিভিসি থেকে ৭০ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হচ্ছে। প্লাবিত হতে পারে হাওড়া হুগলির বড় অংশ।
ভারী বৃষ্টিতে বাড়ল দামোদর নদের জল। জলের চাপ কমাতে ঝাড়খণ্ডের পাঞ্চেত এবং মাইথন জলাধার থেকে জল ছাড়া শুরু করেছে ডিভিসি। সেই জল জমা হচ্ছে দুর্গাপুর ব্যারেজে।
জলের চাপ কমাতে দফায় দফায় দুর্গাপুরের দামোদর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া হচ্ছে। দুর্গাপুরের দামোদর ব্যারেজ থেকে ৭০হাজার কিউসেক ছাড়া হল । দামোদরে নামায় নিষেধাজ্ঞা।
অতি ভারী বৃষ্টিতে জল ছাড়া শুরু করল ডিভিসি। ডিভিসি সূত্রে খবর মাইথন জলাধার থেকে প্রায় ১২ হাজার কেউসেক এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে প্রায় ৩৬ হাজার কেউসেক জল ছাড়া হয়।দুই জলাধার থেকে মোট ৪৮হাজার কেউসেক জল ছাড়া হয়।
সকাল থেকে ৪৮ হাজার কিউসেক হারে জল ছেড়েছে ডিভিসি। এরমধ্যে মাইথন থেকে ছাড়া হয়েছে ১২ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হয়েছে। ৩৬ হাজার কিউসেক হারে জল ছেড়েছে পাঞ্চেত। ৭০ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়ছে দুর্গাপুর জলাধার। ৫ হাজার কিউসেক হারে জল ছেড়েছে তিলপাড়া জলাধার। ময়ূরাক্ষী নদী লাগোয়া বহু এলাকা ডোবার আশঙ্কা। সিকিম, ভুটানের জলে উদ্বেগ বাড়ছে উত্তরবঙ্গে।
জলমগ্ন তারাপীঠ মহাশ্মশান। মহাশ্মশানের প্রায় আড়াই ফুট বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায়। গতকাল গভীর রাত থেকে মহাশ্মশানে জল ঢুকতে শুরু করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে জলের পরিমাণ। টানা বৃষ্টিতে তারাপীঠ মহাশ্মশানের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া দ্বারকা নদীতে বেড়েছে জলস্তর। সেই জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় নদীর পাড় ছাপিয়ে জল ঢুকে পড়েছে তারাপীঠ মহাশ্মশানে।