রাজ্য ভাগের দাবিতে রাজনীতিতে তোলপাড়

0 91

বাংলার মুসলিম অধ্যুষিত দুই জেলা সহ বিহার ও ঝাড়খণ্ডের একাংশকে নিয়ে ‘কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল’ করার দাবি বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। কিন্তু কেন্দ্র কি চাইলেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে? কেন্দ্রের হাতে অনেকটা ক্ষমতা থাকলেও কেউ দাবি করলেই রাজ্য ভাঙার উদ্যোগ নিতে পারে না সরকার। রাজ্য ভাগের কম প্রস্তাব নেই কেন্দ্রের কাছে। তালিকায় রয়েছে, বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশের খানিকটা করে অংশ নিয়ে মিথিলা। উত্তরপ্রদেশের একটি অংশ নিয়ে অওয়াধ। গুজরাত থেকে বেরিয়ে আসতে চায় সৌরাষ্ট্র। বাংলায় গোর্খাল্যান্ড, কামতাপুরি, গ্রেটার কোচবিহারের দাবি।

সেই সঙ্গে এ বার যুক্ত হল নিশিকান্তের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গড়ার নতুন প্রস্তাব। যদিও সেই প্রস্তাব কতটা বাস্তবিক তা নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে। তবে রাজ্য ভেঙে নতুন রাজ্য় গড়া এ দেশে নতুন নয়,

১৯৬০ সালে বোম্বে রাজ্য ভেঙে জন্ম নেয় মহারাষ্ট্র এবং গুজরাত
১৯৬৯ সালে মাদ্রাজের নাম বদলে হয় তামিলনাড়ু
১৯৭০ সালে রাজ্যের মর্যাদা পায় হিমাচল প্রদেশ
১৯৭২ সালে জন্ম নেয় উত্তর-পূর্বের মণিপুর, মেঘালয়, ত্রিপুরা
১৯৭৩ সালে মাইসোর রাজ্য বদলে হয় কর্নাটক
মিজোরাম, অরুণাচল প্রদেশ রাজ্যের মর্যাদা পায়
২০০০ সালে মধ্যপ্রদেশ ভেঙে ছত্তীসগঢ়

উত্তরপ্রদেশ ভেঙে উত্তরাখণ্ড
বিহারের একটি অংশ ভেঙে ঝাড়খণ্ড
২৯তম রাজ্য হিসাবে অন্ধ্রপ্রদেশ ভেঙে জন্ম হয় তেলেঙ্গনার
২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে লাদাখ আলাদা করে দু’টিকেই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল

যদিও রাজ্য ভাগের প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ, নেতারা মন্তব্য করলেও বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব এ নিয়ে কোনও কথাই বলেননি। তাদের অবস্থান স্পষ্ট করার কথা বলছে বিরোধীরা। তাদের অভিযোগ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব না চাইলে কী করে একের পর এক সাংসদ, নেতা এ নিয়ে প্রকাশ্যে সরব হন সংসদে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.