বছরের এই সময় মেঘালয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আকৃষ্ট করে পর্যটকদের। মেঘালয়ের হ্রদ, নদী জলে ভরে উঠে। জলপ্রপাতগুলো আরও মোহময়ী হয়। ফলে এই সময়ে মেঘালয়ে ভিড় জমান পর্যটকরা। মেঘালয়ে ছুটি কাটাতে আসা পর্যটকদের অধিকাংশই হলেন অসমের বাসিন্দা। ফলে অসমের পর্যটকদের পাশাপাশি ভিড় বাড়ে অসমের যানবাহনের। আর তা নিয়েই দেখা দিয়েছে নতুন বিড়ম্বনা। মেঘালয়ের চালক সংস্থার অভিযোগ, অবাধে অসমের গাড়ি প্রবেশ করায়।
মেঘালয়ে অসমের পঞ্জীয়নভুক্ত যানবাহনের প্রবেশে বাঁধা। বিপাকে পর্যটকরা। একদিনেই মেঘালয়ের ৩০ শতাংশ হোটেলের বুকিং বাতিল। মেঘালয়ে স্থানীয় চালক সংস্থার দাদাগিরি! ডাউকি, চেরাপুঞ্জি যেতে পারছে না অসমের গাড়ি। মাঝপথেই আটকে দেওয়া হচ্ছে অসমের যানবাহন। মেঘালয়ের চালক সংস্থার দাদাগিরিতে বিপাকে পর্যটকরা।
ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন মেঘালয়ের গাড়িচালকরা। তাই অসমের যানবাহন ঠেকাতে পথে নেমেছে মেঘালয়ের চালক সংস্থা। ডাউকি, চেরাপুঞ্জি অভিমুখে যেতে পারছে না অসমের গাড়ি। ফলে মাঝ পথ থেকেই ফিরে আসতে হচ্ছে পর্যটকদের। অভিযোগ, শুধু বাণিজ্যিক বাহন নয়, আটকে দেওয়া হচ্ছে ব্যক্তিগত বাহনকেও।
খবর সূত্রে, গাড়ি চালক সংস্থা বলেন,
‘গতকাল যে ঘটনাটি ঘটেছে, তা হল একটি অখ্যাত সংগঠন, আসলে ওরা একটি NGO-র সদস্য। ওরা ILP-এর দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছিল। পরে তাঁরা অসমের গাড়িগুলিকে ৪-৫ ঘণ্টা আটকে রাখে। একই সঙ্গে পর্যটকদেরও হেনস্তার শিকার হতে হয়। আমরা খবর পেয়ে মেঘালয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারপর প্রশাসন তাদের আটক করে।’
গত কয়েকদিন থেকেই এই সমস্যা মাথা চড়া দিয়েছে। কিন্তু মেঘালয় প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে এখনও মৌন। শনিবার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সারা অসম ছাত্র সংস্থা। সমস্যা সমাধানের জন্য এদিন আসু নেতৃত্ব মেঘালয়ের খাসি ছাত্র সংস্থার সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হয়।
অসমের গাড়ি আটকে দেওয়ার ঘটনায় বিরূপ প্রভাব পড়েছে মেঘালয়ের পর্যটন ক্ষেত্রেও। শুক্রবার একদিনেই ৩০ শতাংশ হোটেল বুকিং বাতিল। মেঘালয়ের পরিবর্তে অরুণাচলে ছুটছেন পর্যটকরা। এদিকে, মেঘালয় থেকে নিরাশ হয়ে ফিরে আসা পর্যটকরা জানিয়েছেন, অসম ও মেঘালয় সরকার আলোচনায় বসুক। শীঘ্রই সব সমস্যা দূর করা হোক। যাতে পর্যটকদের কোনও অসুবিধার সম্মুখিন হতে না হয়।