অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি ক্রমেই জটিলতর হচ্ছে বাংলাদেশে। ক্রমে পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। মৃতের সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়েছে। আহত বহু। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০৫-এ। খবর সংবাদসংস্থা সূত্রে। যদিও সরকারি তরফে নির্দিষ্ট করে মৃতের সংখ্যা বলা হয়নি। সকাল থেকে চলছে হেলিকপ্টার টহল। সকাল থেকেই ঢাকার রাস্তায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদস্যরা। জানানো হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত ঢাকায় কোনও ট্রেন প্রবেশ করবে না। ঢাকা থেকে কোনও ট্রেন কোথাও যাবেও না।
ভয়ংকর পরিস্থিতির জন্য বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফিরছে ছাত্ররা। জানা গিয়েছে, শুক্রবারই ৩০০-রও বেশি ভারতীয় পড়ুয়া উত্তর-পূর্বের সীমান্ত পার করে ভারতে চলে এসেছেন। শুক্রবার রাতে পুরো বাংলাদেশে কারফিউ জারি করে সেনা নামিয়েছে হাসিনা সরকার। শুক্রবার ঢাকা মেট্রোপলিয়ন পুলিশের উপকমিশনার ফারুক হোসেন ঘোষণা করেন যে, শুক্রবার দুপুর থেকেই পরবর্তী নির্দেশ ঘোষণা না-হওয়া পর্যন্ত রাজধানীতে সব ধরনের সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল।
বাংলাদেশে ছাত্র বিদ্রোহ নিয়ে মুখ খুলল রাষ্ট্রসঙ্ঘ। ছাত্রদের ওপর আক্রমণ মেনে নেওয়া যায় না। বাংলাদেশে কোটা বিরোধী বিক্ষোভে মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ছে। আখাউড়া, ডাউকি, গেদে, পেট্রাপোল দিয়ে দলে দলে ফিরছে পড়ুয়ারা।
বৃহস্পতিবার থেকে বাংলাদেশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। যার জেরে গোটা বিশ্বের থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে দেশটি। সংরক্ষণ সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভের ঝাঁজ শুক্রবার আরও বেড়ে গিয়েছিল। বিগত তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে বাংলাদেশ। কোটা বা সংরক্ষণ প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনে পথে নেমেছে পড়ুয়ারা। যোগ দিয়েছে সাধারণ মানুষ। বিক্ষোভ সামলাতে পুলিশের পাশাপাশি সেনাও নামিয়েছে সরকার।