কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল হয়ে গিয়েছিল। পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে স্বস্তি পান তাঁরা। মে মাসের পর আজ, মঙ্গলবার ফের শুনানি ছিল শীর্ষ আদালতে। দু মাস পর ফের সেই মামলার শুনানি হলেও তা ঝুলেই রইল। তিন সপ্তাহ পর ফের হবে শুনানি।
সুপ্রিম কোর্টে ৩ সপ্তাহ পিছিয়ে গেল চাকরি বাতিল মামলার শুনানি। ৩ সপ্তাহ পর ফের মামলা উঠবে সুপ্রিম কোর্টে। ৪ নোডাল কাউন্সেল স্থির করে দিল শীর্ষ আদালত। এঁরা হলেন আস্থা শর্মা, শালিনী কল, পার্থ চ্যাটার্জি ও শেখর কুমার। সব পক্ষকে মতামত পেশ করার ২ সপ্তাহ সময় শীর্ষ আদালতের। এই সময়ের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট পেশ করতে হবে সিবিআইকে। চাকরি বাতিল মামলায় সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দেবে রাজ্য, এসএসসি। সুপ্রিম কোর্ট জানাল, চাকরি বাতিলের মামলায় পাঁচ পক্ষের বক্তব্য শোনা হবে। এই পাঁচ পক্ষ হল— ১) রাজ্য ২) এসএসসি ৩) মূল মামলকারী ৪) চাকরিহারা এবং ৫) সিবিআই। এ ছাড়া অন্য কোনও পক্ষ তাদের বক্তব্য জানাতে চাইলে লিখিত ভাবে সুপ্রিম কোর্টে জানাতে পারবে। তবে এই বক্তব্য সীমাবদ্ধ রাখতে হবে পাঁচ পাতার মধ্যেই। তার বেশি নয়। মামলার পরবর্তী শুনানি ৬ অগাস্ট।
প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষককর্মীর চাকরি কি থাকবে? আজ সুপ্রিম কোর্টে এসএসসির চাকরি বাতিল মামলার শুনানি ছিল তা আবারও পিছিয়ে গেল। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পারদিওয়লা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। গত শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল নিয়োগ বাতিলে হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল না। SSC-CBI রিপোর্টে অনিয়ম স্পষ্ট।
হাইকোর্ট চাকরি বাতিল করলেও বহাল রেখেছিল সুপ্রিম কোর্ট। যোগ্য-অযোগ্যদের চিহ্নিত করে তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত।