বিরোধী হলেই লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধের নিদান। বিতর্কে কোচবিহারের তৃণমূল নেতা। শাসক নেতার মন্তব্যে তুঙ্গে রাজনীতি।
দিনহাটার পর এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধের হুঁশিয়ারি মাথাভাঙার তৃণমূল ব্লক সভাপতির। দিনহাটার দীপক ভট্টাচার্যের পর এবার মাথাভাঙার বিশ্বজিৎ রায়। ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় বিতর্কিত মন্তব্য শাসক নেতার। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাওয়ার পরেও যাঁরা তৃণমূলকে ভোট না দিয়ে বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন, তাদের নাম কেটে দেওয়া দরকার। খুল্লমখুল্লা হুমকি তৃণমূল নেতার!
নেত্রী বারবার বলছেন, দলে কেউ বড় নয়। নেতারা নিজেদের ইচ্ছেমতো কাজ করবেন তা হবে না। মানুষের পাশে না থাকলে দল থেকেই ছুঁড়ে ফেলে দেবেন! কিন্তু নেত্রীর সেই নির্দেশ কানে যাচ্ছে কই? তৃণমূল স্তরের নেতাদের লাগামহীন মন্তব্য, হুমকি! সরকারি প্রকল্প প্রদানেও এবার পতাকার রঙ দেখছেন শাসক নেতারা। অভিযোগ বিরোধীদের।
যদিও কুণাল ঘোষ বলছেন, সরকারি প্রকল্প প্রদানে কোনও বাছবিচার করে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তবে, সরকারের সুবিধা নিয়ে সরকারকেই কুরুচিকর আক্রমণের রাজনীতির পক্ষপাতি নয় তৃণমূল। দাবি কুণালের।
লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে তৃণমূল নেতৃত্বের প্রচারের মূল হাতিয়ার ছিল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। ফলও মিলেছে। কিন্তু যে জনমুখী প্রকল্পের জেরে মমতার সরকারের জয়জয়কার সেই প্রকল্প নিয়েই শাসক নেতাদের বিতর্কিত মন্তব্য। নিছকই বাজার গরমের কথা নাকি সত্যিই হুঁশিয়ারি?
লোকসভা ভোটে মাথাভাঙায় সব ওয়ার্ডে তৃণমূলের হার হয়েছে। তাতেই কি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে কোপ পড়তে চলেছে বলে হুঁশিয়ারি দিলেন ব্লক তৃণমূল সভাপতি?