অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট তথা বর্তমানে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের লক্ষ্য করে চলল গুলি। শনিবার পেনিসেলভেনিয়ার বাটলার শহরে নির্বাচনী প্রচার চলার সময়ই ট্রাম্পের উপরে হামলা হয়। কান ঘেঁসে বেরিয়ে যায় বুলেট। এরপরই সিক্রেট সার্ভিসের এজেন্টরা ট্রাম্পকে স্টেজ থেকে নামিয়ে নিয়ে যান। সংবাদসংস্থা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, পেনসেলভেনিয়ায় জনসভায় বক্তব্য রাখছিলেন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাইডেন প্রশাসনের সমালোচনায় সরব ছিলেন। সে সময়ই প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। নীচু করে আড়াল করেন সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টরা।
এরপর তাঁকে স্টেজ থেকে নামিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের গুলি লাগেনি বলেই জানা গিয়েছে। এই ঘটনার পর ট্রাম্পের মুখপাত্র একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী সম্পূর্ণ ঠিক আছেন। স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে তাঁর চিকিৎসা চলছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে পরপর গুলি চলার পরই পাল্টা জবাব দেয় পুলিশ। সন্দেহভাজন হামলাকারীকে নিকেশ করা হয়েছে। শুটার ও তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একজনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার অন্যতম মূল অভিযুক্ত এবং তাঁর এক সঙ্গী নিহত হয়েছেন। আরও দু’জন জখম।
ঘটনাপ্রসঙ্গে ট্রাম্প পরে সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘আমাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছিল। গুলি আমার কান ঘেঁষে বেরিয়ে গিয়েছে। ডান কানের উপরের দিকের চামড়া গুলিতে চিরে গিয়েছে।’’
দলমত নির্বিশেষে ট্রাম্পের সভায় এই হামলার ঘটনার নিন্দা করেছেন আমেরিকার রাজনৈতিক নেতারা। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘‘আমেরিকায় এই ধরনের হিংসার কোনও জায়গা নেই। আমাদের একজোট হয়ে এই হিংসার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো উচিত এবং এর নিন্দা করা উচিত।’’
ট্রাম্পের উপর হামলার ঘটনার নিন্দায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন,
‘আমার বন্ধু প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলার ঘটনায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। রাজনীতি ও গণতন্ত্রে হিংসার কোনও স্থান নেই। তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’