Hathras Stamped: ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু ১০০ বেশি, আহত অন্তত ১৫০ জন, ফের শিরোনামে হাথরস

0 29

ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলার জের, পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু শতাধিক ব্যাক্তির। মৃতদের মধ্যে রয়েছে শিশু, মহিলা এবং বয়স্করাও। আহত অন্তত ১৫০ জন। সূত্রের খবর রতিভানপুরে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছিল মঙ্গলবার। অনুষ্ঠান শেষ হতেই একটি ছোট গেট দিয়ে একসঙ্গে বেরিয়ে আসতে চান সকলে। চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিপুল সংখ্যক পুণার্থী একসঙ্গে একই জায়গা দিয়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করায় পদপিষ্ট হয়ে মারা যান অনেকেই।মৃতদের পরিবারের জন্য ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।

 উত্তরপ্রদেশের হাথরসে এই কান্ডে উত্তাল গোটা দেশ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সংসদে ভাষণ দেওয়ার সময় নিজের বক্তব্য থামিয়ে এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন। বস্তুত ২০২০ সালে হাথরসে তরুণীকে হত্যার কান্ডে শিরোনামে উঠে এসেছিল। এবার আবার কেন্দ্রে সেই হাথরস।   

মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘটনাটির খোঁজখবর নিয়েছেন। তিনি ইতিমধ্যেই একটি তদন্ত কমিটি গঠনেরও নির্দেশ দিয়েছেন বলে খবর। সেই তদন্ত কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন আগরার অতিরিক্ত ডিজি। ঘটনার খবর পেয়ে মুঘলাগড়ি গ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী লক্ষ্মীনারায়ণ চৌধরী এবং সন্দীপ সিংহ। রাজ্য পুলিশের ডিজিও ঘটনাস্থলে গিয়েছেন।

ভোলে বাবার আসল নাম নারায়ণ সাকর হরি। এই বাবা সৎসঙ্গে বলেন, আগে আইবিতে চাকরি করতাম। হাথরাসে(ইউপি) সৎসঙ্গে ২০ হাজারেরও বেশি লোক জড়ো হয়েছিল। এখন এটাও একটা প্রশ্ন যে সেখানে যখন এত ভিড় জমেছে, তখন সাংগঠনিক কমিটি সহ ডিএম-এসপি-র পক্ষ থেকে কী নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছিল?

পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার সিংহ বলেন, ‘হাথরসের মুঘলাগড়ি গ্রামে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছিল। সেই সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। কেন এবং কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

পুলিশ সূত্রে খবর একসঙ্গে প্রচুর মানুষ জমায়েত করেছিলেন হাথরসের মুঘলাগড়ির ঐ প্রার্থনা সভায়। তবে ঠিক কী কারণে হঠাৎ হুড়োহুড়ি সুরু হয়েছিল তা এখনও জানা যায়নি। দেহগুলি উদ্ধার করে ইতিমধ্যেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে হাসপাতাল কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। তাঁরা বলেন আহতদের সিকন্দরারাউ হাসপাতালে নিয়ে গেলেও চিকিৎসা করার মতো পর্যাপ্ত চিকিৎসক ছিল না। হাসপাতালে তখন কেবল একজন চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ ঘটনার পর দেড় ঘণ্টা কেটে গেলেও প্রশাসনের কোনও আধিকারিক আসেননি। পুলিশের ভূমিকাতেও ক্ষুব্ধ এলাকাবসী। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে দাবি স্থানীয়দের।  

Leave A Reply

Your email address will not be published.