Toofan: মুক্তির ১০দিন আগেই বিক্রি ২০০০ বেশি টিকিট! বিশ্বকাপ জয়ী অজিদের দেশেও ‘তুফান’ ঝড় তুলল মিমি-শাকিব জুটি
‘তুফানে’র মাথায় এ বার নতুন পালক। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে সারা ফেলে দিয়েছে মিমি চক্রবর্তী এবং শাকিব খানের জুটি। ভক্তদের অগাধ ভালবাসা পেয়েছে সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ‘তুফান’ ছবি। ওপার বাংলার সঙ্গে সঙ্গেই এই জুটিকে একসঙ্গে দেখতে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে এপার বাংলাতেও। অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রয়েছে ভারতে ছবিটির মুক্তির জন্য। তার মধ্যেই এইবার সেই উন্মাদনার রেশ গিয়ে পৌঁছল সাগর পারে ভারত থেকে ৭ হাজার ৯৮৮ কিলোমিটার দূরে ক্যাঙারুদের দেশে। ছবি মুক্তির আগেই ২০০০ বেশি টিকিট অগ্রিম বিক্রি হয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। এর আগে অস্ট্রেলিয়ায় কোনও বাংলা ছবির মুক্তির আগেই এই রকম অভূতপূর্ব সারা মেলেনি। ছবি মুক্তির ১০ দিন আগেই ২০০০ বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে ‘তুফানে’র। রায়হান রাফির ‘পরান’ ছবি মুক্তির সময়ে শেষ এই উন্মাদনা দেখা গিয়েছিল। তবে সেই সময় অগ্রিম প্রায় ৮০০ টি মতো টিকিট বিক্রি হয়েছিল। যা ‘তুফানে’র থেকে সংখ্যায় অর্ধেকর কম। এইবারে মিমি-শাকিব জুটি পুরনো সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড দুই দেশে ‘তুফান’ রিলিজ করাতে পেরে গর্বিত প্রদর্শনীর দায়িত্বে থাকা সংস্থা ‘বঙ্গজ ফিল্মস’। দুই দেশের বাঙালি অধ্যুষিত অঞ্চলের সিনেমা হলগুলিতে প্রথম সপ্তাহের প্রায় সব টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ প্রায় সব শো হাউসফুল। দ্বিতীয় সপ্তাহের টিকিট শীঘ্রই ‘বঙ্গজ ফিল্মস’-এর ওয়েবসাইট ‘www.bongozfilms.com’-এ পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে প্রযোজনা সংস্থা। রায়হান রাফি পরিচালিত এই ছবিতে বাংলাদেশের মেগাস্টার শাকিব খান, অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী ছাড়াও রয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী, মাসুমা রহমান নাবিলার মতো অভিনেতারা। ‘তুফান’-এর প্রযোজনা দায়িত্বে রয়েছে হাউস—আলফা-আই, চোরকি, এবং এসভিএফ-এর মতো দুই বাংলার ৩ প্রথম সারির প্রযোজনা সংস্থা। ‘তুফান’ এক ছোট গ্রামে জন্ম নেওয়া থেকে সবচেয়ে বড় ডন হয়ে ওঠা এক ব্যাক্তির গল্প।
বঙ্গজ ফিল্মসের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও তানিম আল মিনারুল মান্নান বলেন, ‘নিজের দেশ ছেড়ে যাওয়ার পরেও বাংলা চলচ্চিত্রের প্রতি আমাদের আবেগ অটুট রয়েছে। ‘তুফান’-এর অসাধারণ সাফল্য আমাদের উচ্চমানের বাংলা ছবির প্রদর্শন অব্যাহত রাখতে অনুপ্রাণিত করে। অনান্য ছবি একসঙ্গে অনেক ভাষায় মুক্তি পেলেও ‘তুফানে’র ক্ষেত্রে তা হয়নি। ‘তুফান’ ব্যক্তিগত স্ক্রিনিংয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও, দরাজ প্রশংসা এবং দ্রুত টিকিট বিক্রি এই ছবির গুণমানের প্রমাণ। যা সবসময় নানা ভাষায় মুক্তি পাওয়া ছবির ক্ষেত্রেও দেখা যায় না। শেষ পর্যন্ত একটি ভালো ছবি তৈরি হলে বাংলাদেশি দর্শক সবসময় তা সমর্থন করবে। এই ছবির গুণমানের সঙ্গে আমরা কখনই আপস করিনি।’
বাংলা সংস্কৃতি ও সিনেমার প্রচারে ‘বঙ্গজ ফিল্মস’ অঙ্গীকার বদ্ধ। ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে, এখনও অবধি অস্ট্রেলিয়ায় ৪৩টি বাংলা ছবি সফল প্রদর্শন করেছে তারা।
যদিও এর সঙ্গেই একটি উদ্বেগের কথাও জানিয়েছেন তানিম। তিনি বলেন, ‘আমাদের দ্বিতীয় প্রজন্ম যাদের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা এই প্রবাসেই তারা বাংলা সিনেমার সাথে নিজেদের যুক্ত হওয়া চ্যালেঞ্জিং মনে করে। বাংলা ছবির বর্ণনা বা আবেগ কখনও কখনও তাদের কাছে অপরিচিত বা অতিরঞ্জিত বলে মনে হয়। কেউ কেউ বাংলা ছবি দেখাকে ‘কাজ’ হিসেবে মনে করে। তবুও, আমি বিশ্বাস করি যে রায়হান রাফির মতো তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের প্রচেষ্টায় আমরা শীঘ্রই এই প্রজন্মকে বাংলা ছবির প্রতি আকৃষ্ট করতে পারব। এবং বাংলা ছবির নিয়মিত দর্শক করে তুলতে পারব।‘