বর্ষা এলেও দক্ষিণবঙ্গে আপাতত ভারী বৃষ্টি নেই। দক্ষিণবঙ্গ বর্ষা ঢোকার পরও বৃষ্টির জন্য চাতকের অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছে, সেখানে উত্তরবঙ্গ কিন্তু ভারী বৃষ্টি পাচ্ছে। বৃহস্পতিবার থেকে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা ক্রমশ বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি পাঁচ জেলায়। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা মালদা ও দিনাজপুরে।
কিন্তু কলকাতা -সহ সব জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেয়নি আলিপুর আবহাওয়া দফতর। দক্ষিণবঙ্গের বেশির ভাগ জেলায় বর্ষা প্রবেশ করেছে। তবে আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করলেও কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে এখনই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা খুব একটা নেই। দক্ষিণবঙ্গে নির্ধারিত সময়ের প্রায় ১১ দিন পর প্রবেশ করেছে বর্ষা। তবে বর্ষা এলেও বৃষ্টি অধরাই, বৃষ্টির ছিটেফোঁটাই দেখা যাচ্ছে ।
১ জুন থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত রাজ্যে বৃষ্টিপাতের পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে হাওয়া অফিস। তাতে দেখা গিয়েছে, সোমবার পর্যন্ত কলকাতায় বৃষ্টির ঘাটতি ৮৬.৬ শতাংশ। এই সময়সীমার মধ্যে কলকাতায় স্বাভাবিক ভাবে ২১৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু বৃষ্টি হয়েছে ৩০.৯ মিলিমিটার।
মুর্শিদাবাদে এই সময়কালে বৃষ্টি হওয়ার কথা ছিল ১৫৬.৮ মিলিমিটার। কিন্তু হয়েছে ২৫.৬ মিলিমিটার। সেখানে ঘাটতির হার ৮৪ শতাংশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এই সময়সীমার মধ্যে বৃষ্টি হওয়ার কথা ছিল ২২৫.৮ মিলিমিটার। কিন্তু বৃষ্টি হয়েছে ৬৩.৮ মিলিমিটার। ঘাটতির হার ৭২ শতাংশ। এদিকে, উত্তর ২৪ পরগনায় ১৮৩.৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হয়েছে ৩৯.২মিলিমিটার। ঘাটতির হার ৭৯ শতাংশ। বৃষ্টির ঘাটতি পূর্ব বর্ধমানে ৭৯ শতাংশ, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৭৮ শতাংশ, মালদহে ৭৭ শতাংশ, হুগলিতে ৭৭ শতাংশ, নদিয়ায় ৭৫ শতাংশ। বৃষ্টির এই ঘাটতির কারণে আষাঢ় মাসেও হাঁসফাঁস গরম দক্ষিণবঙ্গে। অস্বস্তিতে দিন কাটাতে হচ্ছে বঙ্গবাসীর। এক দুই ফোঁটা বৃষ্টির পর আরও অস্বস্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে।