আজ থেকে শুরু হয়েছে অম্বুবাচি। প্রতিবছর আষাঢ় মাসের ৭ তারিখে শুরু হয় অম্বুবাচি। এবারও শুরু হয়েছে সেই দিনেই। শনিবার থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে অম্বুবাচি। অম্বুবাচির চারদিন বিশাল মেলার আয়োজন করা হয় কামাখ্যা ধামে। দেশ-বিদেশ থেকে বহু সাধু এই মেলায় যোগদান করতে আসেন। এই তিনদিন কামাখ্যা মন্দির বন্ধ থাকে ভক্তদের জন্য। প্রতি বছরের মতো এবছরও শক্তিপীঠে বাড়ছে সাধুসন্তদের ভিড়। শনিবার অর্থাৎ আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটে অম্বুবাচির প্রবৃত্তি। অম্বুবাচির নিবৃত্তি হবে ২৫ জুন সকাল ৯টা ০৭ মিনিটে। এদিনই খুলে দেওয়া হবে কামাখ্যা মন্দিরের মুখ্যদ্বার।
বছরের এই তিনদিন দেবী ঋতুমতী হন। সেকারণে বাড়ির পুজোর ক্ষেত্রেও বেশ কিছু বিধি নিষেধ থাকে। তবে এই তিনদিন অনেক নিয়মও মেনে চলতে হয়।
অম্বুবাচিতে কি কি বিধি নিষেধ মেনে চলতে হয় –
এই সময়ে কোনও বিশেষ পুজো হয় না। মূলত কোনও দেবী পুজো হয় না। কালী, দুর্গা, জগদ্ধাত্রী, বিপত্তারিণী, শীতলা, চণ্ডীর মূর্তি কিংবা পট লাল কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে হয়। তবে কামাক্ষ্যা মন্দিরে অম্বুবাচির সময়ে বিশাল উৎসবের আয়োজন করা হয়।
এই সময়ে পুজো করতে করতে মন্ত্রপাঠ করা অনুচিত। শুধুমাত্র ধূপ ও প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রণাম করতে হয়।
অম্বুবাচিতে বাড়িতে কোনও শুভ কাজ না করাই শ্রেয়।
বৃক্ষরোপণ কিংবা কৃষিকাজের সঙ্গে বিশেষভাবে জড়িত অম্বুবাচি। অম্বুবাচির সময় মাটি খোঁড়া একেবারেই উচিত নয়। কারণ এই সময় ধরিত্রি দেবী ঋতুমতি হন। সেকারণে এই সময় চাষের কাজের জন্য বীজ রোপন করা একেবারেই উচিত নয়।
এই সময় বেশ কিছু লৌকিক আচার আছে যেগুলো অনেকেই মেনে চলেন। যেমন এই সময় চুলে সাবান বা শ্যাম্পু করা যায় না। নখ, চুল কাটাও নিষিদ্ধ থাকে এই সময়।
অম্বুবাচিতে কি কি করতে পারবেন –
অম্বুবাচীতে গুরুপুজো করতে পারবেন।
গুরু প্রদত্ত মন্ত্রও অনায়াসে জপ করা যায়।
অম্বুবাচীর পর দেবীদের আচ্ছাদন খুলে নিতে হয় তারপর দেবীমূর্তি ভাল করে স্নান করিয়ে পুজো করতে হয়। স্নান সেরে দেবীকে আম এবং দুধ নিবেদন করে।