Sikkim Flood: রবিতেও ভেস্তে গেল উদ্ধারকাজ, পরিস্থিতির উন্নতি না হলে সোমবার পায়ে হেঁটেই মঙ্গন যেতে হবে পর্যটকদের, উদ্বেগে প্রশাসন
রবিবারেও ব্যর্থ সেনাবাহিনী। পৌঁছতে পারল না পর্যটকদের কাছে। কী করে উদ্ধার করবে আটকে পড়া পর্যটকদের? যতই সময় যাচ্ছে যেন ক্রমশ জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি। সড়ক পথের অবস্থা শোচনীয়, তাই রবিবার আকাশপথেই হেলিকপ্টারে পর্যটকদের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সেনা। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে থমকে গিয়েছে সেই রাস্তাও। অধিকাংশ রাস্তাই ধসের কবলে। তাই বিকল্প যে পথে পর্যটকদের নামিয়ে নিয়ে আসার কথা ভেবেছিল বাধ সেজেছে সেই পরিকল্পনাতেও। কবে পর্যটকরা সমতলে ফিরবেন, তা নিয়ে রবিতেও র্যে গেল ধোঁয়াশা।
উত্তর সিকিমে পর্যটকদের উদ্ধারকাজ থমকে গিয়েছে আজও। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, রবিবার সকাল থেকে হেলিকপ্টারে পর্যটকদের উদ্ধারের পরিকল্পনা করেছিল সেনাবাহিনী। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে তা সম্ভব হয়নি। অন্য দিকে, নতুন করে একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। তাই সড়কপথেও রবিবার পর্যটকদের উদ্ধার করা যায়নি বলেই খবর সুত্রে।
এখন ফের অপেক্ষা সোমবারের। আগামীকাল যদি বৃষ্টি কমে এবং পরিস্থিতির একটু উন্নতি হয় তা হলে নতুন করে উদ্ধারকাজ শুরু করা হবে। আবহাওয়া সহায় হলে হেলিকপ্টারে পর্যটকদের উদ্ধার করা হবে। তবে আবহাওয়া যদি একই রকম খারাপ থাকে তা হলে সড়কপথে বিকল্প ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে৷ সূত্রের খবর সে ক্ষেত্রে সোমবার উত্তর সিকিমের টুং থেকে পাঁচ কিলোমিটারেরও বেশি রাস্তা পায়ে হেঁটেই পার করতে হবে আটকে থাকা পর্যটকদের। টুং থেকে মঙ্গন পর্যন্ত ধস পেরিয়ে সেখান থেকে পর্যটন সংস্থার গাড়িতে তাঁদের গ্যাংটকের উদ্দেশে রওনা করা যাবে। ট্রাভেল এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অফ সিকিম সমস্ত ট্রাভেল এজেন্সি, বিশেষ করে যাদের অতিথি উত্তর সিকিমে আটকা পড়েছেন, তাদের আগামীকাল সকাল ১০টার আগে মঙ্গনে পৌঁছানোর নির্দেশ দিয়েছে।
খারাপ আবহাওয়ার কথা ভেবেই সোমবারের জন্য যে পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর রবিবার আবহাওয়া ঠিক থাকলে সেই অনুযায়ীই পর্যটকদের উদ্ধার করে নামিয়ে নিয়ে আসার কাজ করার ক্থা ছিল। কিন্তু রবিবার সকাল থেকে আকাশের মুখে ভার। এক নাগারে বৃষ্টি হয়ে চলেছে সিকিমে। পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক যে, সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সিকিমের ১০ নম্বর জাতীয় সড়কও।
ফলে সিকিমের সঙ্গে কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে গোটা দেশের। যে হেতু, নিরাপত্তার খাতিরে জাতীয় সড়ক বন্ধ করা হল, তাই পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হলেই আবার তা খুলে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
শনিবার গভীর রাত থেকে চলছে বৃষ্টি। কালিম্পং জেলার লিখুভিড় থেকে বন্ধ ছিল যান চলাচল। রবিবার সকালে জাতীয় সড়কের একাধিক জায়গায় নতুন করে ধস নামে। সেবক পেরিয়ে কালিঝোরা-লাটপানচার রোডের অবস্থা খারাপ৷ শ্বেতিঝোরার কাছে জাতীয় সড়কের একাংশ ধসে গিয়েছে।
অধিকাংশ পর্যটক উত্তর সিকিমের বিভিন্ন জায়গায় আটকে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়েছে হাতে নগদ নেই। তার ওপর চলছে না ইন্টারনেট। আটকে থাকা পর্যটকরা ভিডিও বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে তারা ইতিমধ্যে পোস্ট করেছেন পাশাপাশি সেই ভিডিওর মাধ্যমে তারা সিকিম সরকারের কাছে হাতজোড় করে আবেদন করেছেন অবিলম্বে যাতে তাদেরকে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হয়।