মোদীর মন্ত্রীসভায় কে কে থাকছেন? শরিকদের ভাগ্যেই বা কী?

0 21

দেশের ১৫তম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী। সুত্রের খবর আজ মোদীর সঙ্গেই শপথ  নিতে পারেন কয়েকজন পূর্ণ মন্ত্রী এবং প্রতীমন্ত্রী। সন্ধে বেলা শপথের আগে রবিবার সকালে নিজের বাসভবনে এক চা চক্রের আয়োজন করেন মোদী। সূত্রের খবর ঐ চা চক্রে যারা ডাক পেয়েছেন তাঁরাই স্থান পেতে চলেছেন ,মোদী ৩.০ মন্ত্রীসভায়। এই বার একক ভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। তাই NDA শরিকদের উপর ভরসা করেই সরকার গঠন করতে হচ্ছে বিজেপিকে। পরিস্থিতি দর বাড়িয়েছে শরিক দলগুলিও। তাঁদের মধ্যে অন্যতম চন্দ্রবাবু নায়ডুর টিডিপি এবং নীতীশ কুমারের জেডিইউ। রয়েছে চিরাগ পাসোয়ানের এলজেপি, একনাথ শিন্ডের শিবসেনা এইচডি দেবগৌড়ার জেডিএস এবং জয়ন্ত চৌধুরীর আরএলডি মতো শরিকরাও। রেলমন্ত্রক, স্পিকার পদ থেকে একাধিক দাবির শরিকি কাঁটায় খানিকটা অতিষ্ট বিজেপি। ফল প্রকাশ্যে আসার পরে বার বার শরিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন অমিত শাহ, রাজনাথ সিংহ, জেপি নাড্ডারা। এখন কোন শরিক কোন মন্ত্রক পায় সেটাই দেখার।

সূত্রের খবর আশা অনুযায়ী মন্ত্রীসভায় থাকতে চলেছেন অমিত শাহ, রাজনাথ সিংহ, নির্মলা সীতারমন, নীতিন গড়কড়ি, পীযূষ গয়াল, এস জয়শঙ্কর। এছাড়াও থাকতে পারেন অশ্বিনী বৈষ্ণব, ধর্মেন্দ্র প্রধান, প্রহ্লাদ যোশীর মতো জাতীয় স্তরের নেতা তথা মন্ত্রীরাও। জল্পনা ছিল এই বারে সর্বভারতীয় সভাপতির পদ থেকে নিষ্কৃতি দিয়ে মন্ত্রীসভায় নিয়ে আসা হয়ে পারে জেপি নাড্ডাকে। চা চক্রেও উপস্থিত ছিলেন তিনি। মন্ত্রী হতে পারেন মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক এবং হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান, বাসবরাজ বোম্মাই এবং মনোহরলাল খট্টরও। তবে একাংশের অবশ্য দাবি নাড্ডা কে মন্ত্রীসভায় এনে সাংগাঠনিক প্রধান করা হতে পারে শিবরাজকে।

নীতিশের দল থেকে মন্ত্রী হতে পারেন লাল্লন সিংহ, সঞ্জয় ঝাঁ। টিডিপি থেকে মন্ত্রী হতে পারেন চন্দ্রশেখর পেম্মাসানি। মন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন খোদ চিরাগ পাসয়ানও। এছাড়াও এইচডি দেবগৌড়ার পুত্র এইচডি কুমারস্বামী, হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চার জিতনরাম মাঝি জায়গা পেতে পারেন মন্ত্রী সভায়।

বাংলা থেকে চা চক্রে উপস্থিত ছিলেন বনগাঁর সাংসদ তথা মতুয়া সঙ্ঘাধিপতি এবং প্রাক্তন জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। উপস্থিত ছিলেন বালুরঘাটের সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। খবর দু’জনেই পূর্ণ মন্ত্রীত্ব পেতে পারেন। তে সে ক্ষেত্রে বিজেপির ‘এক ব্যাক্তি এক পদ’ নিয়মে অবসান ঘটতে পারে রাজ্যে বিজেপির সুকান্তযুগের।  

Leave A Reply

Your email address will not be published.