Oath Taking Ceremony of Narendra Modi: মোদীর শপথে প্রস্তুত দিল্লি, ঘিরে ফেলা হল ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তায়
রাত পোহালেই রবিবার। দেশের ১৫তম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ নেবেন নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী। ৯ জুন প্রধানমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠানকে ঘিরে সাজ সাজ রব দিল্লি জুড়ে। আঁটসাট কড়া হয়েছে নিরাপত্তা। দেশ-বিদেশ থেকে উপস্থিত থাকবেন তাবড় তাবড় রাজনৈতিক নেতা ব্যাক্তিত্বরা। তাঁদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই তৎপর প্রশাসন।
সূত্রের খবর শনিবার থেকেই দিল্লিকে মুড়ে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে। শপথস্থল অর্থাৎ রাষ্ট্রপতি ভবন এবং তার আশেপাশের অঞ্চলে থাকছে ত্রিস্ত্রীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এই তিন স্তরের সব চেয়ে বাইরে স্তরে থাকবে দিল্লি পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনী। দ্বিতীয় স্তরে থাকবে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কমান্ডো। একদম ভিতরের স্তরে থাকবে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্ব প্রাপ্ত এসপিজি কমান্ডো এবং গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা।
রাষ্ট্রপতি ভবন সূত্রে খবর আগের দু‘বারের মতোই এই বারেও রাষ্ট্রপতি ভবনের উঠোনে শপথ নেবেন মোদী। সূত্রের খবর ঐ দিন মোদীর সঙ্গে বিজেপি এবং সহযোগী দলগুলির তরফে কয়েক জন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী শপথ নিতে পারেন। শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা অতিথিদের তাজ, ওবেরয়, লীলা মৌর্য্য সহ আরও কয়েকটি হোটেলে রাখার বন্দোবস্ত কড়া হয়েছে। তাই এই সব হোটেলগুলিকেও নিরাপত্তা বলয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে, বলবৎ করা হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা জনিত নানা নিয়মের। রাষ্ট্রভবন এবং তার আশেপাশের এলাকা ‘নো ফ্লাইং জোন’ হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে।
দিল্লির গুরুত্বপূর্ণ বহুতল ভবনে মোতায়েন করা হয়েছে এনএসজি এবং সেনার স্নাইপারদের। রবিবার সকাল থেকেই রাজধানীর আকাশে উড়ে বেড়াবে সেনা এবং এনএসজি কমান্ডো বোঝাই বায়ুসেনা ও স্থলসেনার ‘আর্মি অ্যাভিইয়েশন কোর’-এর হেলিকপ্টার।
প্রধানমন্ত্রী পদে মোদী তৃতীয় বার শপথ নিতে চলেছেন রবিবার। রাষ্ট্রপতি ভবনের অনুষ্ঠানে বিজেপি এবং সহযোগী দলগুলির তরফে কয়েক জন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীকেও শপথ নিতে দেখা যাবে বলে সরকারি সূত্রের খবর। শপথে যোগ দিতে আসা বিশেষ অতিথিরা তাজ, ওবেরয়, লীলা, মৌর্য-সহ যে হোটেলগুলিতে থাকবেন, সেখানেও ইতিমধ্যেই নিরাপত্তাবিধি বলবৎ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ভবন এবং আশপাশের অঞ্চলকে ‘নো ফ্লাই জ়োন’ ঘোষণা করা হয়েছে।
রবিবার থেকেই দিল্লির উপর নজর রাখতে আকাশে ক্রমাগত চক্কর দেবে বায়ুসেনা এবং স্থলসেনার ‘আর্মি অ্যাভিয়েশন কোর’-এর হেলিকপ্টার। এই হেলিকপ্টারগুলিতে সেনা এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (এনএসজি)-এর কমান্ডোরা থাকবেন। দিল্লির গুরুত্বপূর্ণ বহুতল ভবনগুলিতে এনএসজি এবং সেনার স্নাইপারদের মোতায়েন করা হবে।
রাষ্ট্রপতি ভবন সূত্রে খবর সন্ধে ৭টা ১৫ মিনিট নাগাদ শুরু হবে মোদীর প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। প্রসঙ্গত এর আগে বেশিরভাগ নেতাই রাষ্ট্রপতি ভবনের অশোক হলে শপথ নিয়েছেন। কিন্তু এই প্রথা প্রথম ভাঙেন ১৯৯০ সালে চন্দ্র শেখর। তিনি ভবনের উঠোনে শপথ বাক্য পাঠ করেন। অটলবিহারী বাজপেয়ীও প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন ভবনের উঠোনেই। কিন্তু তারপরে মনমোহন সিংহ ২০০৪ সালে আবার অশোক হলে প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেন। ২০১৪ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে মোদী প্রধানমন্ত্রী পদে প্রথমবারের জন্য শপথ বাক্য পাঠ করেন রাষ্ট্রপতি ভবনের উঠোনে। ২০১৯ সালে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে মোদী শপথ নেন ভবনের উঠোনে। এই বারে প্রথমে নয়াদিল্লির কর্তব্যপথে শপথ নেওয়ার জল্পনা শোনা গেলেও রাষ্ট্রপতি ভবন সূত্রে খবর রবিবার ভবনের উঠোনেই তৃতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন মোদী।