Kangana Ranaut: কঙ্গনাকে চড়, অভিযুক্ত জওয়ানের সমর্থনে ‘ইনসাফ’ যাত্রা কৃষকদের
কঙ্গনা রানাওয়াতকে চড় মারা কুলবিন্দর কউরের পাশে দাঁড়ালো কৃষক সংগঠন। সম্মিলিত কিষাণ মোর্চা, কিষাণ মজদুর মোর্চার তরফে শুক্রবার জানানো হয়, তারা কুলবিন্দরের সমর্থনে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে তাঁরা। রবিবার মোহালির এসপি অফিসের সামনে ‘ইনসাফ’ যাত্রাও করবেন কৃষকেরা।
পঞ্জাবের সুলতানপুর লোধির কৃষক পরিবারের মেয়ে কুলবিন্দর কউর। ২০০৯ সালে যোগ দেন সিআইএসএফ-এ। ২০২১ সাল থেকে তিনি চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে কর্মরতা। কিন্তু সম্প্রতি তিনিই খবরের শিরোনামে। কারণ বৃহস্পতিবার চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে সদ্য লোকসভা ভোটে বিজয়ী বিজেপি প্রার্থী তথা বলি অভিনেত্রীকে সপাটে এক চড় মেরেছেন তিনি। এই খবর এবং ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে বিতর্কের। চড় মারার পরে তার ঠাই হয়েছে গরাদের পিছনে। সাসপেন্ড হয়েছেন চাকরি থেকেও। এই ঘটনার পরে খানিকটা দ্বিধাবিভক্ত সমাজ। সদ্য সাংসদকে চড় মারার অপরাধে সমালচনায় সরব হয়েছেন কেউ কেউ। আবার অনেকেই আওয়াজ তুলেছেন কুলবিন্দরের পক্ষে।
তবে এই বার কুলবিন্দরের পক্ষে মুখ খুলেছে কৃষক সমাজ। আগামী ৯ জুন একাধিক কৃষক সংগঠনের তরফ থেকে আয়োজন করা হয়েছে প্রতিবাদ সমাবেশের। তাঁদের দাবি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যেন কোনও অযৌক্তিক পদক্ষেপ করা না হয়।
সূত্রের খবর পঞ্জাবের মোহালিতে রবিবার রাস্তায় প্রতিবাদ জানাবেন কৃষকেরা। আয়োজন করা হয়েছে ‘ইনসাফ’ যাত্রার। দাবি, বিমানবন্দরের ঘটনার সঠিক তদন্তের প্রয়োজন। কেন এমন ঘটনা হল, তা খতিয়ে দেখেই ব্যবস্থা নেওয়া হোক। সম্মিলিত কিষাণ মোর্চার এক নেতা জগজিৎ সিংহ ডাল্লেওয়াল বলেন, ‘আমরা সঠিক তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। মহিলা কনস্টেবলের সঙ্গে কোনও অবিচার করা উচিৎ নয়।‘ প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দিল্লির উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে যান কঙ্গনা। নিরাপত্তা তল্লাশির সময়ে সিআইএসএফ কনস্টেবলের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন অভিনেত্রী। অভিযোগ, কঙ্গনা নিজের মোবাইল তল্লাশির জন্য নির্দিষ্ট ট্রে-তে রাখতে চাননি। এর পরই মহিলা নিরাপত্তারক্ষী এসে কঙ্গনাকে সপাটে চড় মারেন। কুলবিন্দর নিজে স্বীকারও করেছেন সে কথা।
তবে চড় মারার কারণ হিসাবে তিনি ২০২০ সালে কৃষক আন্দোলনের সময় কঙ্গনার করা একটি মন্তব্যের কথা উল্লেখ্য করেন। কুলবিন্দর বলেন, ‘তিনি একটি মন্তব্য করেছিলেন। বলেছিলেন, কৃষকেরা ১০০ টাকার বিনিময়ে সেখানে বসে রয়েছেন। তিনি কি সেখানে গিয়ে বসে থাকবেন? তিনি যখন এ সব বলেছিলেন, তখন আমার মা সেখানে গিয়ে বসে প্রতিবাদ করছিলেন।’
দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছে হেনস্থার অভিযোগে বিমানবন্দর কতৃপক্ষের কাছে কুলবিন্দর কউরের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। তারপরেই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়, এবং শুক্রবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনার পরে নিজের ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইলথেকেও একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন কঙ্গনা। যেখানে তিনি বলেন,’আমি ঠিক আছি, কিন্তু পঞ্জাবে যেভাবে উগ্রপন্থা এবং আতঙ্কবাদ বেড়ে চলেছে তাকে কী ভাবে সামলানো হবে?’