রুদ্ধশ্বাস সাড়ে চার ঘণ্টার লড়াই। নাটকীয় ভাবে শেষ ১৬ নিজের জায়গা পাকা করে নিলেন ২৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক নোভাক জোকোভিচ। এই বারে ফরাসী ওপেনের শুরু থেকেই যেন ফর্মে নেই বর্তমানে বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা জোকোভিচ। কিন্তু কথায় বলে না ‘শের কভি শিকার করনা নেহি ভুলতা’, জোকারের ব্যপারটাও যে খানিকটা সেইরকম। প্রথম তিন সেটে হেরে পিছিয়ে গিয়েও রাজার মতো নিজের জয় ছিনিয়ে আনলেন জোকার।
এই দিন ইটালির ২২ বছরের টেনিস খোলোয়ার তরুণ লরেঞ্জো মুসোত্তির বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন জোকার। পাঁচ সেটের লড়াইয়ে প্রথম তিন সেটেই জয় পান লরেঞ্জো। প্রথম সেটে ৭-৫ ব্যবধানে জেতেন লরেঞ্জো। দ্বিতীয় সেটে লড়াই হয় সমানে সমানে। গড়ায় ট্রাইবেকার অবধি, কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করেন ইটালীয় তরুণ। সেই সেটের ফলাফল ছিল ৬-৭(৬-৮)।
এরপর আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন লরেঞ্জো। ফর্মে না থাকা জোকারের জন্য আরও কঠিন হয়ে পড়ে জয়। অনায়াসে বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকাকে ২-৬ ব্যবধানে পরাজিত করেন লরেঞ্জো। তৃতীয় সেট হেরে ১-২ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েন জোকার।
কিন্তু তাতেও ভেঙে পড়েননি তিনি। আবারও ঘুরে দাঁড়ান নোভাক জোকোভিচ। চতুর্থ সেটে ৬-৩ ব্যবধানে ছিনিয়ে নেন জোকার। খেলায় সমতা ফেরে। এরপরেই নিজের জাত চিনিয়েছেন নোভাক জোকোভিচ। পঞ্চম অর্থাৎ শেষ সেটে আর প্রতিপক্ষকে খাতা খোলার সুযোগ দিলেন না জোকার। আগুনে খেলার ধরনে ৬-০ ব্যবধানে ইটালির লরেঞ্জো মুসোত্তিকে পরাজিত করেন নোভাক। ৪ ঘন্টা ২৯ মিনিটের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের শেষে ফরাসির ওপেনের শেষ ১৬য় নিজের নাম পুনরায় পাকা করেন গতবারের বিজেতা। গোটা ম্যাচের ফলাফল জোকারের পক্ষে দাঁড়ায় ৭-৫, ৬-৭ (৬-৮), ২-৬, ৬-৩, ৬-০। চতুর্থ রাউন্ডে নোভাকের ম্যাচ আর্জেন্টিনার ফ্রান্সিসকো সেরুন্ডলোর বিপক্ষে।