এবার আরও এক ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ সন্দেশখালিতে। বুধবার রাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে সন্দেশখালি মাঝেরপাড়া এলাকায় এক মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে কয়েকজন ৷ কিন্তু ওই মহিলা চিৎকার করলে ভয়ে পুকুরের পাশে তাঁকে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, ওই মহিলার স্বামী সিভিক ভলেন্টিয়ার হিসেবে সন্দেশখালি থানায় কর্মরত। অভিযোগ দুই তৃণমূল নেতা দিলীপ মল্লিক ও সৈকত দাসের বিরুদ্ধে৷ বুধবার রাতের ঘটনায় গোপন জবানবন্দির জন্য বসিরহাট মহকুমা আদালতে আনা হয় প্রতিবাদী আক্রান্তকে।
আদালত চত্বরে নির্যাতিতা জানান, দিলীপ মল্লিক ও সৈকত দাস অভিযুক্ত। যদিও অভিযোগ অস্বীকার দিলীপ মণ্ডলের।
সন্দেশখালিকাণ্ডে যে রেখা পাত্রের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয়েছিল শিবু হাজরা, উত্তম সর্দার, শেখ শাহাজাহানরা। রেখা পাত্রের সেই মামলা শুনানিতেই এদিন আদালতে হাজির হন বসিরহাটের বিজেপির প্রার্থী রেখা পাত্র। অভিযুক্তরা যেন জামিন না পায় তার জন্য আদালতে আবেদন করেন রেখা।
সন্দেশখালিতে ধর্ষণের অভিযোগ প্রথম থেকেই অস্বীকার করে আসছে তৃণমূল। একাধিক ভাইরাল ভিডিওকে সামনে রেখে সেই দাবিকে আরও জোরাল করে তুলেছে শাসক শিবির। মেয়েদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করানোর দায়ে গ্রেফতার হয় বিজেপি নেত্রী পিয়ালি দাস ওরফে মাম্পি। আরও বেশ কয়েকটি নতুন ধারা যোগ করে পিয়ালিকে হেফাজতে নিতে চায় পুলিশ। তাই বসিরহাট মহাকুমা আদালতে আনা হয় পিয়ালি দাসকে। সেখানে পিয়ালির অভিযোগ, সব পিসি ভাইপোর কারসাজি।
সন্দেশখালিতে গত কয়েকদিন ধরে ফের রাস্তায় মহিলারা। রাতে পুলিশি ধরপাকড়, পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগে রাত লাঠি-ঝাঁটা হাতে রাত পাহাড়া দিচ্ছেন মহিলারা। সেই পরিস্থিতির মধ্যেই নতুন ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে ফের উত্তপ্ত সন্দেশখালি।