গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। তার উপর দোসর জলসঙ্কট। এই গরমে যেখানে জলই এখন একমাত্র ভরসা,সেখানে জল পাচ্ছে না মানুষ। প্রায় এক বছর ধরে জলে সমস্যায় ভুগছেন মালদার গণিপুর এলাকার মানুষ। অভিযোগ, আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জলের জন্য লম্বা লাইনেই প্রায় অর্ধেক দিন কেটে যায় বাসিন্দাদের। কখনো আগের দিন রাত থেকে দিতে হয় লাইন। তবে গিয়ে মেলে পানীয় জল। তা না হলে সেদিনের মত গলায় দুফোঁটা জল পরবে কিনা সন্দেহ! একে মাথা চরাও রোদ,তার উপর মিলছে না পানীয় জল।
সারাদিনের প্রতিটি কাজে আমাদের জল দরকার, তবে সেই এক ফোঁটা জলের জন্য এমন হাহাকার মালদার গণিপুর এলাকার মানুষের। পানীয় জলের জন্য কেউ সকাল থেকে আবার কেউ ভোর কেউ বা আগের রাত থেকে কলসি বালতি রেখে লাইন দিয়ে রাখেন কলের সামনে। কিন্তু জলের দেখা নেই। এলাকার মানুষের অভিযোগ, আর কত দিন এমন সমস্যায় ভুগবেন তারা?
প্রশাসনকে জানানো হয়েছে, কিন্তু কোনো লাভ হয় নি। সমস্যার কোনো সুরাহা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। এখন এমন অবস্থায় তারা আশার দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে।
গ্রমের এই সমস্যা গ্রামবাসীরা স্বীকার করে নিলেও, রীতিমত ভুগছেন তারা। তবে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সঞ্জয় কুমার দাস গ্রামের এই সমস্যার কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন। স্থানীয় পি এইচ ই দপ্তরের পক্ষ থেকে জল সরবরাহ করা হলেও এখন তা অনিয়মিত। তবে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীর এই জল জীবন মিশন প্রকল্পের লক্ষ প্রতিটি ঘরে আর্সেনিকমুক্ত জল পৌঁছে দেওয়া। একাধিক জনসভা ছাড়াও সম্প্রতি বনগাঁর একটি নির্বাচনী সভা থেকেও তিনি বলেন, এই প্রকল্পে ৭০ শতাংশ অর্থ ব্যয় করে রাজ্য। কিন্তু তারপরও কেন এই ছবি ? উত্তর খুঁজছেন মানুষ।