Loksabha Election 2024: লাল মাটির পথে কি বজায় থাকবে ঘাসফুল নাকি ফুটবে পদ্ম নজরে বোলপুর লোকসভা কেন্দ্র
বোলপুর মানে কিন্তু কেবল শান্তিনিকেতন, রবীন্দ্রনাথ আর সোনাঝুড়ির হাট নয়, বরং এক সময়ে বোলপুর মানে ছিল বামেদের লাল দুর্গ। লাল মাটির পথে পথে ছিল বামেদের আধিক্য। ১৯৭১ থেকে ২০০৯ দীর্ঘ ৩৮ বছর এই দুর্গের মালিক ছিল বামেরা। এখান থেকে টানা ৪ বার সাংসদ হয়েছিলে সিপিএমের পোড় খাওয়া রাজনীতিক তথা জননেতা সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। অবশ্য এই সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কেই যাদবপুর কেন্দ্রে ১৯৮৪ সালে রাজনীতিতে নবাগত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হারিয়ে নিজের রাজনৈতিক উত্থানের শুরু।
সেই সময় মমতার কাছে হেরে বোলপুর চলে আসেন সোমনাথ। তৎকালীন সাংসদের মৃত্যুর কারণে উপনির্বাচন হয় বোলপুরে আর তার পর থেকেই টানা ২০০৯ অবধি লাল মাটির সাংসদ ছিলেন সোমনাথ। এর পর ২০০৯ সালে আসনের পুনর্বিন্যাস হলে এই আসন সংরক্ষণ হয়।
২০০৯ সালে সিপিএম জিতলেও ২০১৪ সালে বাম দুর্গে ঘাসফুল ফোটায় তৃণমূল। সেই শুরু তারপর থেকে এই আসন এখনও অবধি শাসকদলের দখলে। সেই সময় তৃণমূলের টিকিটে সাংসদ হন বর্তমানের বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। তারপর ২০১৯ সালে এই আসনে তৃণমূলের হয়ে জেতেন অসিতকুমার মাল। এবারেও প্রার্থী তিনিই। ফারাক শুধু একটাই, গত দুই লোকসভা ভোটে অনুব্রত নামে শক্ত খুঁটি থাকলেও এবারে সেই খুঁটি জেলবন্দি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এখন বোলপুরে তৃণমূলের প্রতিযোগিতা বাম নয় বিজেপির সঙ্গে। ২০১৯ লোকসভা ভোটের ফল বলছে এই আসনে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৪৮.২৫ শতাংশ এবং বিজেপির ভোট ছিল ৪০.৯১ শতাংশ। বাম এবং কংগ্রেসের প্রাপ্ত ভোট যোগ করলে তা দাঁড়ায় ৮.৪৩ শতাংশে।
এই আসনে এবারে বিজেপির প্রার্থী পিয়া সাহা। এর আগে দু বার বিধানসভা ভোটে হারলেও এই বারে তাঁকেই প্রার্থী করেছে বিজেপি। অন্যদিকে কংগ্রেস সমর্থিত বাম প্রার্থী নানুরের প্রাক্তন বিধায়ক শ্যামলী প্রধান। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি পাঁচ বারের বিধায়ক, একবারের সাংসদ অসিতের কাছে অনান্য প্রার্থীরা নবাগত হলেও, কেষ্টহীন বীরভূমে জয় পেতে বেগ লাগবে তৃণমূলেরও।