অমাবস্যার ভরা কোটালে সুন্দরবনের ক্যানিংয়ের মাতলা নদী বাঁধে দেখা দিল ভাঙন। যেকোনো সময় নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হতে পারে গ্রামের পর গ্রাম। আতঙ্কে ঘুম উড়েছে গ্রামের বাসিন্দাদের।
সুন্দরবনের একটাই আতঙ্ক নদী বাঁধ। কংক্রিটের নদী বাঁধের দাবি সুন্দরবনের বাসিন্দাদের বহু বছরের। কিন্তু আজও সেই দাবি পূরণ হয়নি। ভোট আসে ভোট যায়। নদী বাঁধকে কেন্দ্র করে ক্ষমতার লড়াই চলে শাসক বিরধীদের। ভোটের আগে সেই নিয়ে চলে দেদার প্রতুশ্রুতিও। কিন্তু বারে বারে প্রতিশ্রুতি পেলেও সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি আজও। অভিযোগ রাজনীতির দাবা খেলায় বিপন্ন সাধারণ মানুষের জীবন।
দিন পেরিয়ে, মাস পেরিয়ে বছর পেরিয়ে গিয়েছে। সামনেই বর্ষা। আবারো নদী বাঁধ ভাঙ্গার আতঙ্কে সিঁদুরে মেঘ দেখছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিং এর মধুখালী এলাকার বাসিন্দারা। মধুখালীর চ্যাটার্জী ঘাট সংলগ্ন নদী বাঁধের বিস্তীর্ণ কয়েক মিটার বাঁধে ইতিমধ্যেই দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। নদী বাঁধে ধস নেমে তলিয়ে গেছে মাতলা নদীর গর্ভে। আর যেটুকু অংশ রয়েছে তাও যে কোনও মুহূর্তে ভেঙে নোনা জল ঢুকতে পারে গ্রামে। এমন আশঙ্কাতেই এখন দিন গুনছেন গ্রামের বাসিন্দারা।
গত কয়েক বছর আগে এই নদী বাঁধ ভেঙে নোনা জল ঢুকে প্লাবিত হয় গ্রামের পর গ্রাম। তখন সাময়িকভাবে বাঁধ মেরামতি করা হয়। তবে কংক্রিটের বাঁধের দাবি আজও অপূর্ণ রয়ে গিয়েছে। প্রতিবছর বড় কোটালে বাঁধ ভাঙ্গার আতঙ্কে থাকতে হয় বাসিন্দাদের। এবার অমাবস্যার কোটালে আবার সেই আতঙ্কই ফিরে এলো গ্রামে। নদী বাঁধ ধস নামার কারণে আতঙ্কে রয়েছে গ্রামের বাসিন্দারা। যে কোন মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে নোনা জল ঢুকতে পারে গ্রামে এমনটাই আশঙ্কা করছে তারা।
ক্ষোভে ফুঁসছে গ্রামের বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ স্থানীয় সাংসদ প্রতিমা মন্ডল কে দেখা যায় না এলাকায়। এই বাঁধের দিকে কোনো দিনও ফিরে দেখেনি সাংসদ। শুধুমাত্র ভোটের সময় দেখা যায়। ভোট চলে গেলে আবার গায়েব সাংসদ। কিন্তু কবে কংক্রিটের নদী বাঁধ হবে উত্তর অজানাই!