ক’দিন ধরেই খবরের শিরোনামে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন। কোভিডের সময় যেই ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য হাহাকার পড়ে গিয়েছিল আজ সেই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা প্রশ্নের মুখে। এমনকি মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই কোভিড১৯-এর এই টিকা। ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা অ্যাস্ট্রোজেনেকা সম্প্রতি লন্ডনের উচ্চ আদালতে কোভিড ভ্যাকসিনের কারণে রক্ত জমট বাঁধার ঝুঁকি কথা স্বীকার করে নিয়েছে। আর তারপর থেকেই আরও বেশি করে প্রশ্নের মুখে কোভিশিল্ড।
সম্প্রতি চাঞ্চল্য তৈরী হয়েছে আরও একটি ঘটনায়। এই ভ্যাকসিন নেওয়ার ফলে দুই মেয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে আদলতের দারস্থ হয়েছেন এক পিতা। সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউটের বিরুদ্ধে মামলা করবেন। ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউটের বিরুদ্ধে মামলা করেছে মৃতের পরিবার।
কোভিড মহামারীর সময়ে ঋতিকা শ্রী ওমট্রি এবং করুণ্য নামের দুই তরুণীর মৃত্যু হয়। তাঁরা দুজনেই কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন বলেও দাবি পরিবারের। সদ্য ১৮ বছরের ঋতিকা ক্লাস ১২ পাস করে বছরের ২০২১ সালে আর্কিটেকচার বা স্থাপত্য নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন।
মে মাসে তিনি কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন। একসপ্তাহ পর ঋতিকার প্রচন্ড জ্বর আসে এবং সেইসঙ্গে শুরু হয় বমি। দিনে দিনে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এমনকি তাঁর হাঁটাচলা পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যায়।
চিকিৎসকের পরামর্শে এমআরআই স্ক্যানে ধরা পড়ে তাঁর মস্তিষ্কে একাধিক জায়গায় রক্ত জমাট বাঁধছে এবং ফুটো হচ্ছে। এই ঘটনার দু’সপ্তাহের মধ্যেই মৃত্যু ঘটে ঋতিকার।
তবে তাঁর বাবা-মা প্রথমে মেয়ের মৃত্যুর সঠিক কারণ না জানলেও, ২০২১ সালে ডিসেম্বরে একটি আরটিআই-এর মাধ্যমে জানা যায় ঋতিকা টিটিটি অর্থাৎ থ্রম্বোসিসি উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম রোগে ভুগছিলেন। ভ্যাকসিনের প্রতিক্রিয়ার কারণেই মারা গিয়েছিলেন।
অন্যদিকে ভেনুগোপাল গোবিন্দনের মেয়ে করুণ্যাও কোভিড ভ্যাকসিন নেওয়ার এক মাসের মধ্যে ২০২১ সালে জুলাই মাসে মারা যান।
সম্প্রতি উচ্চ আদালতে ব্রিটিশ ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা ভ্যাকসিনের প্রভাবের কথা স্বীকার করলে নতুন করে ঐ সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন দুই তরুণীর পরিবার।