গরমের ছুটিতে মামারবাড়িতে এসেছিল রাজ বিশ্বাস। কে জানত আর বাড়ি ফেরাই হবে না? পুকুর পাড়ে খেলছিল ৩ কিশোর। আচমকাই বিকট শব্দ শুনে এলাকার লোকজন ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। পাণ্ডুয়া থানার তিন্না নেতাজি পল্লি এলাকার রাস্তায় তখন রক্তাক্ত অবস্থায় কাতরাচ্ছে ৩ কিশোর। ঠিক কোন পরিস্থিতিতে কিশোরদের উদ্ধার করা হয় শিউরে ওঠা অভিজ্ঞতা জানালেন জখম কিশোর সৌরভ চৌধুরীর আত্মীয়।
এরপর দ্রুত তাদের পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাজ বিশ্বাসকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। গুরুতর অবস্থায় রাজের অন্য দুই সঙ্গী সৌরভ চৌধুরী ও রূপম বল্লভকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সন্তান হারিয়ে রাজের মা যেন দিশাহারা।
এদিন ঘটনার পরপরই নেতাজি পল্লি এলাকায় যান হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। বিদায়ী সাংসদকে কাছে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন জখম কিশোরদের আত্মীয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় পড়ে থাকলেও কেউ সহযোগিতা করেনি কিশোরদের উদ্ধারে, অনুযোগ জখম কিশোরের আত্মীয়র।
এরপরই জিটি রোড অবরোধ করে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি নেতা-কর্মীরা। ঘটনাস্থলে যান হুগলি গ্রামীণের পুলিশ কর্তারা। বোমা ফেটে মৃত্যুর ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবিতে সরব লকেট চট্টোপাধ্যায়।
ভোটের আবহে পাণ্ডুয়ায় বোমা ফেটে কিশোরের মৃত্যু ও ২ কিশোরের জখমের ঘটনায় উত্তেজনা। কিন্তু বোমা এলো কোথা থেকে? আর কত মায়ের কোল খালি করবে বাংলার বোমা?