‘তৃণমূল শৌচালায় চুরি করেছে, আবাসের বাড়ি চুরি করেছে, চাকরি চুরি করেছে, তৃণমূল গরু পাচার করেছে, কয়লা বালি পাচার করে, ১০০ দিনের কাজের টাকা চুরি করে, এই তৃণমূলকে হারাতেই হবে। যেই প্রাক্তন সংসদের সাংসদ পদ চুড়ির দায়ে চলে গেছে দেশ বিরোধীতার জন্য চলে গেছে, এরকম প্রাক্তন সাংসদকে ভোট দেবেন না। মোদিজীর উন্নয়নকে বহাল রাখতে অমৃতা রায়কে ভোট দেবেন।’ এদিন নদীয়ার বেথুয়া ডহরি দেশবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের মাঠে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের সমর্থনে জনসভা থেকে রাজ্যের শাসক দলকে এই ভাষাতে আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বুধবার সন্ধ্যায় একই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ির রাজবধূ অমৃতা রায় সহ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বরা। এরপরে মঞ্চে দাঁড়িয়ে মাইক হাতে নিয়ে একের পর এক আক্রমণ করতে শুরু করেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের শাসক দলের প্রতি একরাশ ক্ষোভ উপড়ে দেন। যদিও জনসভার শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে চাকরি বাতিল নিয়ে প্রশ্ন করলে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এটা পিসি ভাইপোর কোম্পানির ভেতরের ব্যাপার। কোন কর্মচারীকে রাখবে আর কোন কর্মচারীকে রাখবে না সবটাই তাদের উপর নির্ভর করে। এটা তৃণমূল দল নয় একটা প্রাইভেট কোম্পানি। এখানে বিভিন্ন স্তরের কর্মচারী আছে। সারা দেশে কোন ভেদাভেদ নেই আর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তেজপাতা বলে মনে করে, তরকারিতে লাগে কিন্তু খাওয়া যায় না। অন্যদিকে সভা মঞ্চ থেকে অমৃতা রায় কর্মী সমর্থক ও সাধারন মানুষের উদ্দেশ্যে বলেন, তিনি এখনো পর্যন্ত যেসব এলাকায় নির্বাচনী ভোট প্রচারে গেছেন সেই এলাকাগুলোর কোন উন্নয়ন হয়নি, পরিস্থিতি খুব খারাপ। মানুষ তাকে অভাব অভিযোগের কথা বলছেন। কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের বেশিরভাগ জায়গায় মহুয়া মৈত্র সাংসদ থাকা সত্ত্বেও কোন কাজ করেননি। মোদি জি আমাকে পরিষ্কার বলে দিয়েছেন যে ১০০ টি প্রকল্পের কাজ হওয়ার কথা সেগুলি খুবই দ্রুত শুরু হবে। পাশাপাশি এখনো পর্যন্ত যেই কাজ গুলি হয়নি সেই কাজগুলি সবার আগে আমি ঢুকাবো।